টুকরো খবর
শিক্ষাকর্মীর দেহ উদ্ধার
৫৩ দিন জেল খেটে জামিন পাওয়ার পরে অস্বাভাবিক মৃত্যু হল বাঁকুড়া জেলা স্কুলের এক করণিকের। মৃত প্রদীপ মুখোপাধ্যায়ের (৫৩) বাড়ি বড়জোড়ার উড়নপাড়ায়। মঙ্গলবার সকালে বড়জোড়া ব্লক অফিসের পিছনের গাছে তাঁর ঝুলন্ত দেহ মেলে। বাঁকুড়া জেলা স্কুলে মিড-ডে মিল-সহ নানা কাজে দুর্নীতির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক সোমনাথ গঙ্গোপাধ্যায় ও কয়েক জন কর্মীর সঙ্গে প্রদীপবাবুকে পুলিশ ধরেছিল। গত বুধবার তাঁরা জামিন পান। মৃতের ভাইপো সুমন মুখোপাধ্যায় বলেন, “নির্দোষ হয়েও জেল যাওয়াটা কাকু মানতে পারেননি। বাড়ি ফিরে মনমরা ছিলেন।” শুক্রবার বিকেলে বাঁকুড়া শহরে মেয়ের বাড়িতে যাচ্ছেন বলে তিনি বেরিয়ে যান। তার পর থেকেই তাঁর খোঁজ মিলছিল না। প্রদীপবাবুর দাদা সুখদেব মুখোপাধ্যায় দাবি করেন, “ভাই একটি ডায়েরির পাতায় নিজেকে নির্দোষ বলে উল্লেখ করে ওই দুর্নীতিতে স্কুলের এক কর্তা ও জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিককে দায়ী করেছে।” পুলিশ জানিয়েছে, তারা ডায়েরির বিষয়টি জানে না। সুখেদববাবু জানান, এ দিন সৎকারের ব্যস্ততায় বিষয়টি পুলিশকে জানাতে পারেননি। পদাধিকার বলে ওই স্কুলের সভাপতি হলেন জেলাশাসক। তাঁর অভিযোগেই পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছিল। জেলাশাসক বিজয় ভারতীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। অতিরিক্ত জেলাশাসক মৌমিতা বসু বলেন, “আত্মহত্যার ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক। তবে প্রশাসন নিজের ভূমিকা পালন করেছে।”

সিপিএম কর্মী ‘প্রহৃত’
সিপিএম কর্মী এক স্কুল শিক্ষককে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বলরামপুর থানায় এই অভিযোগ করেন স্থানীয় খেঁকরিডি গ্রামের বাসিন্দা তথা মাঝি কদমডি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক দিলীপ মণ্ডল। তাঁর অভিযোগ, বিনা প্ররোচনায় তৃণমূলের লোকেরা সোমবার বলরামপুর বাসস্ট্যান্ডে তাঁকে মারধর করে। যদিও তৃণমূলের বলরামপুরের ব্লক সভাপতি সৃষ্টিধর মাহাতোর দাবি, “মিথ্যা অভিযোগ।”

উত্তরাখণ্ডের পাশে বড়জোড়া
বিধ্বস্ত উত্তরাখণ্ডের সাহায্যার্থে ত্রাণ সংগ্রহে পথে নেমেছে বড়জোড়ার ছাত্রছাত্রী-সহ বিভিন্ন বয়সের বাসিন্দারা। উদ্যোক্তা বড়জোড়া ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশন। স্কুল, কলেজ থেকে সব শ্রেণির মানুষের কাছে তাঁরা যাচ্ছেন। তাঁরা জানান, সংগ্রহ করা অর্থ প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে পাঠাবেন। বড়জোড়া বিডিও ইস্তেয়াক আহমেদ খান বলেন, “খুব ভাল উদ্যোগ। ব্লকের অনেক মানুষ এই কাজে এগিয়ে এসেছেন।”

প্রৌঢ়ের মৃত্যু
মোটরবাইকের ধাক্কায় আহত এক প্রৌঢ়ের মৃত্যু হল। মৃত মনসারাম মাহাতোর (৬০) বাড়ি পুরুলিয়া মফস্সল থানার চাকড়া গ্রামে। গত বুধবার গ্রামের কাছেই মোটরবাইকের ধাক্কায় তিনি জখম হন। পুরুলিয়া হাসপাতালে মঙ্গলবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। অন্য দিকে, চারুবালা মাহাতো (৮৫) নামের এক বৃদ্ধা খাট থেকে পড়ে মারা যান। তাঁর বাড়ি ঝালদা থানার নোয়াডি গ্রামে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.