এসইউসি-র উপরে হামলা, গ্রেফতার ৪
নিজস্ব সংবাদদাতা • কুলতলি |
এসইউসিআইসি কর্মীদের উপরে হামলার অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সকলেই সিপিএম কর্মী বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। সোমবার রাতে কুলতলির দেউলবাড়ি পঞ্চায়েতের শিকারিপাড়ায় দু’পক্ষের মারামারি বাধে। দু’দলের তরফেই অভিযোগ দায়ের হয় পুলিশের কাছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ভোটের প্রচার বাড়ি ফিরছিলেন এসইউসিআইসি কর্মী-সমর্থকেরা। রাত ৮টা নাগাদ সিপিএমের লোকজন হামলা চালায় বলে অভিযোগ। জখম হন কয়েক জন। এসইউসিআইসি রাজ্য কমিটির তরফে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে, জখম ৩ এসইউসিআইসি কর্মীকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কললেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জয়নগরের এসইউসিআইসি সাংসদ তরুণ নস্করের দাবি, ভোটের আগে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করতেই হামলা চালিয়েছে সিপিএম। অন্য দিকে, কুলতলির সিপিএম বিধায়ক রামশঙ্কর হালদারের বক্তব্য, পাড়ার মধ্যে দিয়ে আসার সময়ে মহিলাদের গালিগালাজ করছিলেন এসইউসিআইসি কর্মী-সমর্থকেরা। প্রতিবাদ করতে গেলে মারধর করেন তারা। জখম হন সিপিএমের ৬ জন।
|
আরএসপি-সিপিএমকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে, বাসন্তীতে সূর্য
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাসন্তী |
মঙ্গলবার বাসন্তীতে জনসভায় সূর্যকান্ত।—নিজস্ব চিত্র। |
বামফ্রন্টের দুই শরিকের পুরনো বিবাদ অবশেষে মিটল বাসন্তীতে। আরএসপি-সিপিএমের সেই সৌহার্দ্যর আবহে মঙ্গলবার বাসন্তীতে এসে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার করলেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। এ দিনের সভায় তিনি বলেন, “আমরা যখন ক্ষমতায় এসেছিলাম তখন পাঁচটি দলকে নিয়ে বামফ্রন্ট তৈরি করেছিলাম। আমাদের নীতি, আদর্শ রয়েছে বলেই আমরা একসঙ্গে রয়েছি। ওঁরা (পড়ুন তৃণমূল) অনেককে নিয়ে রামধনু জোট করেছিল। কিন্তু সেটা মিলিয়ে গিয়েছে। উনি (পড়ুন মমতা) বেশিক্ষণ এক জায়গায় থাকেন না।” তাঁর সংযোজন, “সিপিএম ও আরএসপিকে এক হয়ে লাল ঝান্ডাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।” সভা থেকে মমতাকে ‘হলুদ কার্ড’ দেখাতে বলেন সূর্যবাবু। এ দিনের সভায় সূর্যকান্তবাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক সুজন চক্রবর্তী, প্রাক্তন সেচমন্ত্রী ও আরএসপি নেতা সুভাষ নস্কর, আরএসপির জেলা সম্পাদক চন্দ্রশেখর দেবনাথ প্রমুখ। |