|
|
|
|
গড়বেতায় নিখোঁজ বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম ও মেদিনীপুর |
ভোট হয়ে গিয়েছে পাঁচ দিন আগে। তবে রাজনৈতিক সন্ত্রাসে দাঁড়ি পড়েনি।
মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির ১৭ নম্বর আসনের সিপিএম প্রার্থী রমেশ দণ্ডপাটকে তৃণমূলের লোকজন মারধর করে বলে অভিযোগ। সন্ধ্যায় চুবকা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রহরাজপুর গ্রামে রমেশবাবুর বাড়িতে তৃণমূলের সশস্ত্র লোকজন চড়াও হয়। রমেশবাবুকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারে তারা। হাতে টাঙির কোপ মারে। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে মাথায় টাঙির আঘাত লাগে রমেশবাবুর স্ত্রী গৌরীদেবীর। জখম দম্পতিকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হলেও তৃণমূলের লোকজন বাধা দেয় বলে অভিযোগ। রাত ৯টা নাগাদ সিপিএম কর্মীদের উদ্যোগে তাঁদের মানিকপাড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে স্থানান্তরিত করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যালে। ফোনে রমেশবাবু কোনওমতে বলেন, “মনোনয়ন দাখিলের পর থেকেই তৃণমূলের লোকজন প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করতে চাপ দিচ্ছিল। আমি শুনিনি।” তৃণমূলের ঝাড়গ্রাম ব্লক সভাপতি অনিল মণ্ডলের অবশ্য দাবি, “পারিবারিক বিবাদের জেরে রমেশবাবু ও তাঁর স্ত্রী জখম হয়েছেন। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।”
গড়বেতায় আবার এক বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীর নিখোঁজ হওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। অভিযোগ, তৃণমূলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর চক্রান্তেই ওই কর্মীকে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে। এই মর্মে থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছে। নিখোঁজ ব্যক্তির নাম গণেশ দুলে (৩০)। বাড়ি গড়বেতা থানা এলাকার কপ্পরপুরে। এ বারের নির্বাচনে ওই এলাকা থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে নির্দল প্রার্থী হয়েছেন গণেশের দাদা নিমাই দুলে। বিক্ষুব্ধ তৃণমূল হিসেবেই ভোটে লড়ছেন তিনি। নিমাই ভোটে দাঁড়ানোর পর থেকেই তাঁর পরিবারের লোকজনকে স্থানীয় তৃণমূল নেতারা হুমকি দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। পরিবার সূত্রের খবর, রবিবার সকালে ‘বাজারে যাচ্ছি’ বলে বেরোন গণেশ। তারপর আর বাড়ি ফেরেনি। চারদিকে খোঁজখবর নিয়েও গণেশের সন্ধান না মেলায় মঙ্গলবার গড়বেতা থানায় অভিযোগ করেন নিখোঁজের পরিবার। অভিযুক্তের তালিকায় তৃণমূলের স্থানীয় নয় নেতা-কর্মীর নাম রয়েছে। তাঁদের মধ্যে উল্লেখ্য অনুপ কুমার, শিবানী দে, ধনঞ্জয় সার, শ্যামাপদ কুণ্ডু প্রমুখ। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দিলীপ পাল অবশ্য এই ঘটনায় দলীয় সংযোগ মানতে চাননি। |
|
|
|
|
|