গ্রিন ট্রাইব্যুনাল নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্য সরকার কী কী কাজ করেছে, তা সরেজমিনে দেখতে পশ্চিমবঙ্গে আসবেন আইনজীবী মুকুল রোহাতগি। গ্রিন ট্রাইব্যুনাল নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে কতটা কাজ হয়েছে আর কী কী কাজ বাকি, তা খতিয়ে দেখে তিনি শীর্ষ আদালতকে রিপোর্ট দেবেন। এই মামলায় রাজ্য সরকারের হয়ে সর্বোচ্চ আদালতে সওয়াল করছেন আইনজীবী রোহাতগি।
কলকাতায় গ্রিন ট্রাইব্যুনাল গড়ার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে ওই পরিবেশ আদালত রাঁচি বা গুয়াহাটিতে সরিয়ে নেওয়ার জন্য কেন্দ্রকে উদ্যোগী হতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জি এস সিঙ্ঘভি ও বিচারপতি এস জে মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। মঙ্গলবার মামলাটি ফের শুনানির জন্য উঠলে রোহাতগি বলেন, রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার যে-অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা অনেকটাই ভিত্তিহীন। রাজারহাটের ফিনান্সিয়াল হাবে যে ওই ট্রাইব্যুনালের জন্য জায়গা ঠিক করা হয়েছিল, তিনি তা সুপ্রিম কোর্টকে জানান।
জাতীয় গ্রিন ট্রাইব্যুনালের চেয়াম্যানের রিপোর্টের ভিত্তিতেই তাঁরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ এনেছেন বলে বিচারপতিরা জানান। রাজ্যের তরফে শীর্ষ আদালতে জানানো হয়, জাতীয় গ্রিন ট্রাইব্যুনাল বিচারপতিদের জন্য যে-ধরনের আবাসনের ব্যবস্থা করতে বলে নির্দেশিকা জারি করেছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার এখনই তেমন আবাসন দিতে পারছে না। পরবর্তী কালে ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। বিচারপতিরা বলেন, এক বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এ ব্যাপারে ঠিকঠাক তথ্যই দিতে পারেনি। গ্রিন ট্রাইব্যুনালের দফতর এবং তার সদস্যদের থাকার জন্য ভাল পরিকাঠামো তৈরি করতে না-পারলে কলকাতা থেকে ওই আদালত গুয়াহাটি বা রাঁচিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
এ দিন শুনানির সময়ে এজলাসে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পরিবেশসচিব ত্রিলোচন সিংহ। বিচারপতিরা তাঁকে উদ্দেশ করে বলেন, “আপনাদের আইনজীবী মুকুল রোহাতগির সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলুন। কী ভাবে কলকাতায় গ্রিন ট্রাইব্যুনাল গড়া যায়, তা দেখুন। নিউ টাউনেই যাতে আদালতের সদস্যদের থাকার জায়গা করা যায়, তার ব্যবস্থা করুন।” ২ অগস্ট তাঁরা ফের মামলাটি শুনবেন বলে বিচারপতিরা জানিয়ে দেন। |