সোমবার রাত থেকে বারো ঘণ্টারও বেশি নিখোঁজ ছিলেন তিনি। অবশেষে মঙ্গলবার সকালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতের শিক্ষক অভিজিৎ ঘোষের (৬০) মৃতদেহ উদ্ধার হল সংস্কৃত বিভাগেরই শৌচাগার থেকে। তাঁর বাড়ি বাইপাস সংলগ্ন কালিকাপুরে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পিজি আর্টস ভবনের চারতলায় সংস্কৃত বিভাগ। পুলিশ জানায়, এ দিন সকাল ৭টা নাগাদ রোজের মতো ওই বিভাগের শৌচাগার পরিষ্কার করতে যান এক সাফাইকর্মী। শৌচাগারের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান তিনি। কর্তৃপক্ষ খবর দেন যাদবপুর থানায়। পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে দেখে মেঝের উপর চিত হয়ে পড়ে অভিজিৎবাবু। চিকিৎসক ডেকে তাঁকে পরীক্ষা করানো হয়। পুলিশের দাবি, বেশ কয়েক ঘণ্টা আগে ওই শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান চিকিৎসক। এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় এ দিন সকাল থেকেই তোলপাড় হয় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর।
|
অভিজিৎ ঘোষ |
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, চলতি বছরের এপ্রিলে ওই শিক্ষক অবসর নেন। পরে তাঁকে পুনরায় পাঁচ বছরের জন্য নিযুক্ত করা হয়। পুলিশ জানায়, নিয়মিত ক্লাস নিতেন অভিজিৎবাবু। সোমবার দুপুর পৌনে ১টা থেকে বিকেল পৌনে ৪টে পর্যন্ত তিনটি ক্লাসও নেন। পুলিশের কাছে সংস্কৃত বিভাগেরই এক শিক্ষক দাবি করেন, সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ তিনি অভিজিৎবাবুকে কলা ভবন থেকে বেরিয়ে যেতে দেখেন। অবশ্য তার পরে অভিজিৎবাবু ফের কলা ভবনে ঢুকেছিলেন কি না, তা তিনি পুলিশকে জানাতে পারেননি। পুলিশের অনুমান, কোনও কারণে অভিজিৎবাবুকে সম্ভবত ফের কলা ভবনে ঢুকতে হয়েছিল। রাতে বাড়ি না ফেরায় শিক্ষকের পরিবার গরফা থানায় নিখোঁজ-ডায়েরি করে।
পুলিশ জেনেছে, উচ্চ রক্তচাপের রোগী ছিলেন অভিজিৎবাবু। পুলিশের অনুমান, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে দেহের ময়না-তদন্ত করানো হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য সিদ্ধার্থ দত্ত বলেন, “ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। তবে এখনই বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে তদন্ত করার কথা ভাবা হচ্ছে না। কারণ পুলিশ তো ব্যাপারটা দেখছে।” |