ভোটের ডিউটিতে আসা পুলিশের বিক্ষোভের মুখে দেখল ভাতার।
উত্তর ২৪ পরগনায় ডিউটিতে যাওয়ার সময়ে ‘যথেষ্ট’ গাড়ি না পেয়ে ভাতার থানার সামনে পথ অবরোধ করলেন কলকাতা পুলিশের কিছু কর্মী। অভিযোগ, পুলিশ কোয়ার্টার লক্ষ করে ইটও ছোঁড়া হয়। অবরোধ তুলতে গিয়ে নিগ্রহের মুখে পড়েন ভাতার থানার ওসি সঞ্জয় কুণ্ডু-সহ কয়েক জন কর্মী।
ছবি তুলতে গিয়ে অবরোধকারীদের রোষের মুখে পড়েন আলোকচিত্রীরাও। বেশ কয়েক জনের ক্যামেরা কেড়ে নেওয়া হয়। পরে জেলা পুলিশের কর্তাদের হস্তক্ষেপে ক্যামেরা ফেরত দেওয়া হলেও, আলোকচিত্রীরা চিপ ও ব্যাটারি ফেরত পাননি বলে অভিযোগ। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জাভেদ শামিমের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত অবরোধ ওঠে। ভাতার থানা আরও দুটি গাড়ি জোগাড় করে দেওয়ার পরে তাঁরা উত্তর ২৪ পরগনায় ভোটের ডিউটি করতে রওনা হন। পথ অবরোধ হয় বিকেল সাড়ে ৩টে থেকে পৌনে ৫টা পর্যন্ত। |
জমায়েত পুলিশকর্মীরা।—নিজস্ব চিত্র। |
কলকাতা পুলিশের প্রায় দু’হাজার কর্মী বর্ধমান জেলায় ভোটের ডিউটি করতে এসেছিলেন পুরুলিয়া থেকে। বর্ধমানে আসার পথেই তাঁরা গাড়িতে কম লোক চড়বেন বলে জেদ শুরু করেন। ফলে বর্ধমান থেকে পাঠানো গাড়ির পাশাপাশি লরি-বাস ভাড়া করতে হয় পুরুলিয়ায়। বর্ধমান জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, ভাতারে ভোটের ডিউটি করতে এসেছিলেন কলকাতা পুলিশের ৩৫৩ জন কর্মী। তাঁদের নিয়ে যেতে উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর থেকে এক কনস্টেবল ৯টি বাস-ট্রাক ইত্যাদি নিয়ে ভাতারে আসেন। একটি গাড়ি খারাপ হয়ে যায়। বাকি আটটিতে ৩৫৩ জনের যাওয়া সম্ভব নয় দাবি করে কলকাতা পুলিশের কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
কলকাতা পুলিশের কয়েক জন কর্মী জানান, ভোটের ডিউটিতে তাঁদের জেলায়-জেলায় পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু জেলা প্রশাসন বা পুলিশ তাঁদের থাকা-খাওয়া এমনকী এক জেলা থেকে অন্য জেলায় পাঠানোর সুবন্দোবস্ত করার ব্যাপারে উদাসীন। দীর্ঘ অপেক্ষার পরে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে বাধ্য হয়েছেন। বর্ধমান জেলা গ্রামীণ পুলিশের এক কর্তার কথায়, “অবরোধকারী পুলিশকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নিগ্রহের মুখে পড়েন ভাতারের ওসি। তাঁকে ধাক্কাধাক্কি করা হয়। স্থানীয় থানার কয়েক জন কর্মীকেও নিগ্রহ করা হয়েছে। ছবি তুলতে যাওয়া আলোকচিত্রীদের ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে তাঁদেরও গলিগালাজ করা হয়েছে।” বর্ধমানের পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা অবশ্য এ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। তিনি বলেন, “যা জানানোর, কলকাতা পুলিশের কর্তাদের জানানো হয়েছে।” |