ভোট মিটলেও রাতভর বোমাবাজি, মারধর, ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল জামুড়িয়ায়। জামুড়িয়ার সাত্তরে সিপিএম প্রার্থী দুর্গাদাস মাজির বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এলাকার একটি ক্লাবও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। সিপিএমের অজয় জোনাল কমিটির সম্পাদক মনোজ দত্তের অভিযোগ, মঙ্গলবার সকালে সিপিএম সমর্থক মহিলা দিনমজুরেরা কাজে যোগ দিতে গেলে তাঁদের মাঝরাস্তা থেকে ফিরিয়ে দেয় তৃণমূল সমর্থকেরা। |
|
|
সাত্তোর গ্রামে দেওয়ালে বোমাবাজির চিহ্ন তখনও স্পষ্ট। |
মহিলাদের জটলা। |
|
তাঁরা এ নিয়ে জামুড়িয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ব্লক সভাপতি পূর্ণশশী রায়ের দাবি, সত্তর, তালতোড় বিভিন্ন এলাকায় সিপিএমই সন্ত্রাসের পরিবেশ কায়েম করে রেখেছিল। পুলিশকে কড়া হাতে দমন করার আবেদন করেছি।
সিপিএমের দামোদর অজয় জোনাল কমিটির সম্পাদক তুফান মণ্ডলের অভিযোগ, ভোটের পরে রাত ১১টা নাগাদ অন্ডালের দক্ষিণখণ্ড পঞ্চায়েতে সিপিএম প্রার্থী চম্পা বাউড়ির বাড়ির সামনে ব্যাপক বোমাবাজি করে তৃণমূল। তারপরেই মদনপুর পঞ্চায়েতের ধান্ডাডিহিতে সিপিএমের দলীয় কার্যালয় দখল করে নেয়। তাঁর দাবি, পাণ্ডবেশ্বরের রামনগরেও ভোট শেষ হওয়ার পরে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করে তৃণমূল। কিন্তু উল্টে সিপিএমের তিন কর্মীকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র-সহ ধরা হয়েছে বলে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। |
এর জেরে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। প্রতিবাদ জানাতে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন বাসিন্দারা। পরে পুলিশ রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ লাঠিচার্জ করে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তৃণমূলের পাণ্ডবেশ্বর ব্লক সভাপতি নরেন চক্রবর্তী জানান, সিপিএম সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছিল। পুলিশ তা কড়া হাতে দমন করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে।
|