পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি হরিশ্চন্দ্রপুরে
ফুলহার নদীর জল কমলেও হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। জলমগ্ন গ্রাম বানভাসিদের উদ্ধার করে বাঁধে উপর আনার সময় সোমবার বেলা ১১টা নাগাদ নৌকা ডুবে এক বৃদ্ধা জলে ডুলে মারা গিয়েছে। তিনজন গ্রামবাসী এখনও নিঁখোজ। এদিকে এদিন ভোরে গাজলের বাবুপুর গ্রামপঞ্চায়েতের রাজনগরে নৌকা ডুবে শংকর সাহা (৩৫) নামে এক মারা গিয়েছেন। পলাশ সাহা নামে এক যুবক এখনও নিখোঁজ।
এদিকে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার দিন জেলাশাসক দৌলতনগর গ্রামে গিয়ে পাঁচটি শিবির তৈরি করে বন্যা দুর্গতদের রান্না করা খাবার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও সোমবার দুপুর পর্যন্ত সেখানে রান্নার কোন ব্যবস্থাই হয়নি বলে অভিযোগ। দৌলতনগরের বাসিন্দা প্রসেনজিত মিত্র, শেখ মোফরেজ বলেন, “জেলা প্রশাসন পাঁচ কুইন্টাল চিঁড়ে পাঠিয়েছে। এত কম পরিমাণ চিঁড়ে ১০ হাজার বন্যা দুর্গতের মধ্যে কী ভাবে বিলি করা হবে? বিলি করলে এখানে মারপিট লাগবে। শনিবার জেলাশাসক এখানে এসে বলে গিয়েছিলেন বন্যা দুর্গতদের রান্না করা খাবার খাওয়ানো হবে। কিন্তু এখনও রান্না করা খাবারের দেখা নেই।” পাশাপাশি, মহানন্দা মাস্টার বাঁধে হাজারের ও বেশি বন্যা দুর্গত খোলা আকাশের নিচে রয়েছে বলেও অভিযোগ। জেলাশাসকের বক্তব্য , পাঁচ হাজার পলিথিন বিলি করা হয়েছে। এর পরেও অনেকে পলিথিন পায়নি। যাঁরা পাননি তাদের পলিথিন পাঠানো হচ্ছে।”
মালদহের গাজলে স্পিডবোটে উদ্ধার করা হচ্ছে বন্যা
দুর্গতদের। সোমবার ছবি তুলেছেন মনোজ মুখোপাধ্যায়।
এদিকে খাবার অপ্রতুল। তার উপরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় নৌকার ব্যবস্থা হয়নি। বানভাসি দৌলতনগরের বাসিন্দারা নিজেরাই ডিঙি নৌকা করে জলমগ্ন এলাকা থেকে বাঁধে উঠছেন। ছোট ডিঙি নৌকায় ৩০ জন বাঁধে যাওয়ার সময় স্রোতের ধাক্কায় নৌকা উল্টে জলে ডুবে যায়। তিনজনের এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এক বৃদ্ধা জলে ডুলে মারা গিয়েছেন। জলে ডুবে বৃদ্ধার মৃত্যুতে এলাকায় ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। জেলাশাসক কিরণ কুমার গোদালা বলেন, “সকলে ত্রাণ চাইছেন। কিন্তু, দুর্গত না হলে ত্রাণ দেওয়া যাবে না। বিডিওকে বলেছি তালিকা বানিয়ে ত্রাণ বিলি করুন।”
এদিতে ফুলহারের জল কমতে শুরু করেছে। জল কমতে শুরু করতেই জেলা সেচ দফতর (মহানন্দা) ভেঙে দৌলতনগরের রিং বাঁধ এলাকা মেরামত করা উদ্যোগ নিয়েছে। সেচ দফতরের নিবার্হী বাস্তুকার সুজিত বসু বলেন, “ফুলহার নদীর জল গত ২৪ ঘন্টায় প্রায় পাঁচ সেন্টিমিটার কমেছে। ওই এলাকায় কাল থেকে কাজ করা যাবে কিনা তার চেষ্টা করছি। ফুলহার নদীর জল কমলেও গঙ্গা ও মহানন্দা নদীর জল বাড়ছে।”

পুরনো খবর:



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.