|
|
|
|
ত্রাণ নিয়ে ক্ষোভ, পঞ্চায়েত দফতরে ভাঙচুর দুর্গতদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ |
ত্রাণ বিলির কাজে বিরুদ্ধে দলবাজির অভিযোগে পঞ্চায়েত দফতরে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে দুর্গতদের একাংশের বিরুদ্ধে। তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিএম ও সমাজবাদী পার্টির নেতৃত্বে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে রায়গঞ্জ থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরের গৌরী গ্রাম পঞ্চায়েতে। আন্দোলনকারীরা দুপুর ১ টা থেকে চার ঘন্টা পঞ্চায়েতের সচিব সহ চার কর্মীকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। বিকাল ৫টা নাগাদ রায়গঞ্জের মহকুমাশাসক নন্দিনী সরস্বতীর নির্দেশে বিরাট পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে পুলিশের গাড়িতে উঠিয়ে বিডিও অফিসে নিয়ে যায়। রায়গঞ্জের বিডিও অমূল্যচন্দ্র সরকার বলেন, “ত্রাণ বিলির কাজে দলবাজির অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন। ওই পঞ্চায়েতের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় প্রশাসনের তরফে ত্রাণ বিলির জন্য সর্বদলীয় কমিটি তৈরি করেই ত্রাণ বিলি করা হয়েছে।” মহকুমাশাসক নন্দিনী দেবী জানান, পঞ্চায়েতের সচিব ও কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে কারা ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত রয়েছেন তা জানার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, “অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা সম্ভব হলে রায়গঞ্জ থানায় এফআইআর করা হবে। চিহ্নিত করা সম্ভব না হলে জেনারেল ডায়েরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” |
|
গৌরী গ্রাম পঞ্চায়েতে ভাঙচুর। সোমবার তরুণ দেবনাথের তোলা ছবি। |
পঞ্চায়েত সূত্রের খবর, গত একসপ্তাহ ধরে নাগর নদীর জল ঢুকে পড়ায় গোরি গ্রাম পঞ্চায়েতের সাতটি মৌজা জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। জলবন্দি প্রায় আড়াই হাজার পরিবার। গত ১১ জুলাই ব্লক প্রশাসন দুর্গতদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী পাঠায়।
পঞ্চায়েতের সচিব অলোকা সাহা বলেন, “ব্লক প্রশাসনের নির্দেশে গত ১১ জুলাই সর্বদলীয় বৈঠক করে ত্রাণ বিলির জন্য একটি কমিটি তৈরি হয়। ওই কমিটিতে সব দলের নেতারা রয়েছেন। পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে তাঁদের মাধ্যমেই গত ১৩ জুলাই প্রথম দফায় ১৯৫টি দুর্গত পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিলি করা হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় ত্রাণ বিলির জন্য সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেই সময় প্রায় তিনশো জন মানুষ পঞ্চায়েত দফতরে ঢুকে মিথ্যা অভিযোগ তুলে ভাঙচুর চালিয়ে সভা ভন্ডুল করে।”
প্রায় তিন দশক ধরে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত কংগ্রেসের দখলে রয়েছে। এদিন তৃণমূল, সিপিএম ও সমাজবাদী পার্টির নেতৃত্বে দুর্গতদের একাংশ পঞ্চায়েত দফতরের প্রায় ৬০টি প্লাস্টিকের চেয়ার, টেবিল ও দরজার পর্দা, স্ট্যান্ড ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। এদিন আন্দোলনের পুরোভাগে ছিলেন উত্তর দিনাজপুর জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী শীলা সাহা, স্থানীয় সিপিএম নেতা মানিক দাস ও সমাজবাদী পার্টির অঞ্চল কমিটির সভাপতি জয়গোপাল বর্মন। তাঁরা একযোগে অভিযোগ করেন, ত্রাণ বিলিতে দলবাজি হয়েছে।
পঞ্চায়েতের বিদায়ী কংগ্রেস প্রধান বরেন রায় বলেন, “তৃণমূল, সিপিএম ও সমাজবাদী পার্টির নেতা কর্মী ও সমর্থকেরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজনৈতিক সুবিধা পেতে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে। পঞ্চায়েত দফতরে ভাঙচুর করেছে। পুলিশের কাছে অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছি।” |
|
|
|
|
|