২২শে মাথাভাঙায় মমতার নির্বাচনী-সভা |
কেএলও জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার কোচবিহারে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
মুখ্যমন্ত্রীর সফরের এক সপ্তাহ আগে কেএলও জঙ্গি সন্দেহে এক যুবককে গ্রেফতার করল কোচবিহার জেলা পুলিশ। রবিবার বক্সিরহাটের দক্ষিণ টাকোয়ামারি থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম মাধব রায় বাড়ি বক্সিরহাটের রামপুরে ধোরারকুঠি এলাকায়। ধৃতের থেকে একটি নাইন এমএম পিস্তল, ৬ রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগাজিন, ২টি মোবাইল, ৫টি সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে অসম নম্বরের একটি বাইক। জিজ্ঞাসাবাদের পরে পুলিশের দাবি মে মাসে বক্সিরহাট মানসাই বাজারে গুলিচালনা ও অসমে গোলকগঞ্জের একটি পেট্রোল পাম্পে গুলি চালানোর ঘটনায় ওই যুবক জড়িত ছিলেন। ২২ জুলাই জেলার মাথাভাঙায় নির্বাচনী প্রচারে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সফরের এক সপ্তাহ আগে সন্দেহভাজন ওই কেএলও-র সক্রিয়তার বিষয়টি সামনে আসায় পুলিশ বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে বলে জানিয়েছে। |
|
ধৃত মাধব রায়।—নিজস্ব চিত্র। |
নাটাবাড়ির মদের দোকানের টাকা লুঠ ও বক্সিরহাটের একটি পেট্রোল পাম্পে হামলায় সে যুক্ত বলে পুলিশের সন্দেহ। সোমবার কোচবিহারে নিজের দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করে জেলা পুলিশ সুপার অনুপ জয়সওয়াল বলেন, “গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে কেএলওর সঙ্গে জড়িত ওই যুবককে ধরা হয়েছে। মানসাই ও গোলকগঞ্জে গুলি চালনার ঘটনাতেও সে জড়িত ছিল।”
পুলিশের এক সূত্রে জানা গিয়েছে রামপুরের বাসিন্দা মাধব রায় অন্তত দুই বছর আগে কামতাপুর লিবালেরশন অর্গানাইজেশন বা কেএলও-এ যুক্ত হন। ভুটানে সেনা অভিযানের পরে কেএলও খানিকটা দুর্বল হয়ে পড়ে। পুলিশের দাবি, দুর্বল সংগঠনকে ঢেলে সাজার জন্যই কেএলওর প্রথম সারির এই নেতাকে বাছা হয়। কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জয়সওয়াল এ দিন বলেন, “ধৃতকে আরও জেরা করা হলে সব স্পষ্ট হয়ে যাবে।” প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, দীর্ঘ দিন ধরে গা ঢাকা দিয়ে থাকা মাধব রায় রবিবার বাড়ির লোকদের সঙ্গে দেখা করতে বক্সিরহাট যান। সেখান থেকে তাকে ধরা হয়। ভোটের মুখে নাশকতা কিংবা অপহরণের ছক কষা হয়েছিল কি না পুলিশ খতিয়ে দেখছে। মাধব অসম নম্বরের যে মোটর বাইকে এসেছিলেন সেটিও আটক করা হয়। |
|