একাদশ শ্রেণির বই নিয়ে জটিলতা কাটল না সোমবারেও।
গত শুক্রবার দু’পক্ষের বৈঠকে জট কিছুটা খোলার আশা দেখা গিয়েছিল। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ মনে করেছিল, সোমবার আদালতে অভিযোগকারী সংস্থা জানিয়ে দেবে, একাদশ সংস্থার বই প্রকাশ ও বিক্রি নিয়ে আদালতের বাইরেই তারা ফয়সালা করতে চায়। কিন্তু তা হল না। অভিযোগকারী সংস্থাটি এ দিন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদালতে জানিয়ে দিল, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের রফাসূত্রে তারা রাজি নয়। আদালতের কাছে তারা বিচার চায়। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ অবশ্য এখনও আশাবাদী যে, তারা আদালতের বাইরেই বই সমস্যার সমাধান করতে পারবে। সংসদের আইনজীবী এ বিষয়ে সমাধান সূত্র বের করার জন্য আদালতের কাছ থেকে সময় চেয়ে নেন। বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, আগামী কাল, বুধবার তিনি মামলাটি ফের শুনবেন। অর্থাৎ তার আগে পর্যন্ত একাদশ শ্রেণির বই প্রকাশ ও বিক্রি বন্ধ থাকবে।
প্রথম দিনের বৈঠকে সমাধান সূত্র হিসেবে ঠিক হয়েছিল, ছাত্রছাত্রীরা যাতে দ্রুত পাঠ্যবই পান তার জন্য বর্তমান যে প্রকাশনা সংস্থা বই ছেপেছে এবং বই বিক্রি করছে, তাদের কোনও বাধা দেওয়া হবে না। অপর দিকে পরের দু’বছরের জন্য ছাপা ও বিক্রির দাবি জানিয়ে মামলা করেছে যে সংস্থা, তাদের বরাতের একটি বড় অংশ দেওয়া হবে। দু’পক্ষের মতভেদ মেটাতে এ দিন বিকেলে অ্যাডভোকেট জেনারেল বিমল চট্টোপাধ্যায়ের ঘরে তাঁর উপস্থিতিতে ফের বৈঠক হয়। সেখানে হাজির ছিলেন রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দফতরের সচিব অর্ণব রায়, সংসদের সভাপতি মুক্তিনাথ চট্টোপাধ্যায়, সংসদের পক্ষে আইনজীবী এক্রামুল বারি এবং আবেদনকারী প্রকাশনা সংস্থার আইনজীবী শক্তিনাথ মুখোপাধ্যায়। কিন্তু সেই বৈঠকেও সমাধানসূত্র মেলেনি বলেই খবর।
|