বহু বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি
ভোটকে প্রহসন বলছে বিরোধীরা
ঞ্চায়েত ভোটের দ্বিতীয় দফায় সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠল প্রথম দফার চেয়েও বেশি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় সোমবার বর্ধমান, হুগলি এবং পূর্ব মেদিনীপুরে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট হয়নি বলে দিনের শেষে অভিযোগ বামফ্রন্ট, কংগ্রেস এবং বিজেপি বিরোধী সব পক্ষেরই। বিরোধীদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে উপযুক্ত ভাবে ব্যবহার না করে, রাজ্য সরকারের মদতে এবং পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের ফলে তিন জেলাতেই ভোট প্রহসনে পরিণত হয়েছে। ব্যাপক সন্ত্রাস, বুথ দখল ও ছাপ্পা ভোট করেছে শাসক দল তৃণমূল।
বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর অভিযোগ, “কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বসিয়ে রেখে রাজ্য সরকার নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করার চেষ্টা করছে। দ্বিতীয় দফার ভোটে ৮৮% বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল না। তিন জেলায় ব্যাপক সন্ত্রাস, বুথ দখল ও ছাপ্পা ভোট হয়েছে। বাইক বাহিনীও ছিল। যা পরিস্থিতি, তাতে গণতন্ত্রের ধর্ষণে এ রাজ্য প্রথম হবে!” সন্ত্রাস এবং ভোট লুঠের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বর্ধমানের ৮৯০টি এবং হুগলির ১০০টি বুথে ফের ভোট গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বামেরা। পূর্ব মেদিনীপুরেও ৪৫০টি বুথ দখল হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ। তবে ওই জেলায় কোনও পুনর্নির্বাচনের দাবি করা হচ্ছে না বলে বিমানবাবু জানান। কংগ্রেস পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বর্ধমানের ৯০টি, হুগলির ২৪টি এবং পূর্ব মেদিনীপুরের ১২টি বুথে।
বিরোধীদের যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় অবশ্য দাবি করেছেন, “দ্বিতীয় দফায় তিন জেলায় ১০ হাজার ৬৮টি আসনে ভোট অবাধ, শান্তিপূর্ণ হয়েছে। রাত ৮টা পর্যন্ত ৮০% মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। কোথাও কেউ বলেননি যে, তিনি ভোট দিতে পারেননি বা তাঁর ভোট অন্য কেউ দিয়ে দিয়েছেন।”
বিমানবাবুর আরও অভিযোগ, কেন্দ্রকে রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী নিয়ে মিথ্যা তথ্য দেয় রাজ্য। বলেছিল, ১০ হাজার নব-নিযুক্ত পুলিশ বাহিনী থাকবে। কিন্তু তার মধ্যে মাত্র সাড়ে তিন হাজার পুলিশ কর্মী চূড়ান্ত প্রশিক্ষণ-পর্ব পাশ করেছেন। বাকি সাড়ে ছ’হাজার পুলিশ কয়েক মাস হল চাকরিতে ঢুকেছেন। তাঁদের প্রশিক্ষণই হয়নি। তাঁরা ডিউটিতে ছিলেন না। তাঁর দাবি, “বাম আমলের ৭ বার পঞ্চায়েত ভোটে এমন দূষিত পরিবেশ দেখা যায়নি।”
সোনাচূড়া, নন্দীগ্রাম, খেজুরিতে অবাধে ছাপ্পা ভোট হয়েছে বলে অভিযোগ করে বিমানবাবু বলেন, “তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে এক জন খুন হয়েছেন। জামুড়িয়ায় বোমার আঘাতে সিপিএম প্রার্থী মনোয়ারা বিবির স্বামী শেখ হাসমত খুন হন। স্বাভাবিক ভাবেই এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তার পরিণামে আরও এক জনের মৃত্যু হয়।” এ সবের পরও বিমানবাবুর কাছে ‘রুপোলি রেখা’ “সিঙ্গুরের দু’টি বুথে বাইরের লোকদের দিয়ে হামলা করানোর চেষ্টা হলেও মানুষ প্রতিবাদ করেছেন।”
কংগ্রেসের অভিযোগ, পুলিশের সামনেই নির্বাচনী এজেন্টদের মারধর করে বুথ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। বিধায়ক মানস ভুঁইয়ার বক্তব্য, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রাজ্য কেন ঠিক ভাবে মানছে না, তা মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে জানতে চাইছি।”
দ্বিতীয় দফার ভোটে সন্ত্রাস এবং ভোট লুঠের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি-ও। দলের রাজ্য সহ-সভাপতি প্রভাকর তিওয়ারির বক্তব্য, “আমাদের দাবি ছিল, ভোটের অন্তত ৪৮ ঘণ্টা আগে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করা হোক। তা করা হয়নি।” বেলমুড়িতে তাঁদের নির্বাচনী এজেন্টদের মারধর করে বার করে দেওয়ার অভিযোগ করে কয়েকটি বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি করেছে সিপিআই (এম-এল) লিবারেশন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.