ডায়েরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে পাত্রসায়র থানার বীজপুর গ্রামে। প্রায় ৩০ জন বাসিন্দা ডায়েরিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে স্থানীয়দের দাবি। তাঁদের মধ্যে ১০ জনকে ইন্দাস ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ও একজনকে পাত্রসায়র ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে গ্রামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয় বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি। যদিও স্বাস্থ্য দফতর তা মানতে নারাজ। রবিবার পাত্রসায়রের বিএমওএইচ উজ্জ্বল মণ্ডলের নেতৃত্বে চিকিত্সক দল ওই গ্রামে গিয়ে অসুস্থদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গত বুধবার থেকে গ্রামের কয়েকজনের পেটের রোগ দেখা দেয়। ঘন ঘন পায়খানা, বমি ও পেট ব্যথা শুরু হয়। পরের দিন অসুস্থের সংখ্যা বেড়ে হয় ১৫। অবস্থা বেগতিক বুঝে তাঁদের মধ্যে ৫ জনকে পাত্রসায়র ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ও ১০ জনকে ইন্দাস ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রামবাসী নব বাগদি, বিজয় বাগদিরা দাবি করেন, “অসুস্থদের মধ্যে লেগো বাগদি (৬০) নামে এক বৃদ্ধকে বুধবার ইন্দাস ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। রাস্তায় তাঁর মৃত্যু হয়।” ইন্দাস ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিত্সাধীন আকাল বাগদি, গাজন বাগদির জানান, তাঁদের দিনে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ বার করে পায়খানা ও বমি হচ্ছিল। সেই সঙ্গে অসহ্য পেট ব্যাথা হচ্ছিল। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হওয়ার পরে তাঁরা কিছুটা ভাল রয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ, গত কয়েক দিন ধরে গ্রামে এত মানুষের মধ্যে এই রোগ ছড়িয়েছে, তারপরেও চিকিত্সক দল এত দিন খোঁজ নিতে যায়নি।
পাত্রসায়রের বিএমওএইচ উজ্জ্বল মণ্ডল অবশ্য দাবি করেন, “স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। তাঁরা গ্রামে গিয়ে হ্যালোজেন ট্যাবলেট বিলি করেছেন, ব্লিচিং পাউডার ছড়িয়েছেন। বাড়িতে বাড়িতে ঘুরে অসুস্থদের নানা পরামর্শ দিয়েছেন।” তিনি দাবি করেন, “ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে কারও মত্যু হয়েছে বলে জানা নেই।” তিনি জানান, এ দিন চিকিত্সকদের দল ওই গ্রামে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন করেন। গ্রামের প্রতিটি পুকুর, নলকূপ থেকে সংগ্রহ করে আনা জল পরীক্ষার জন্য বাঁকুড়ায় পাঠানো হয়েছে। |