পঞ্চায়েতে ভোট দিতে বাধা পেলে ভোটারদের আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার আর্জি জানাল সিপিএম। কোনও ভোটার ওই অভিযোগের বিচার চেয়ে মামলা করলে তাঁকে সাহায্য করারও আশ্বাস দিয়েছে তারা।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রবীন দেব রবিবার বলেন, “ভোটারদের কাছে আবেদন সমস্ত হুমকি উপেক্ষা করে নির্ভয়ে ভোট দিন। বাধা এলে আপনারা মামলাও করতে পারেন।” ওই বিষয়ে ভোটাররা মামলা করলে সিপিএম কি তাঁদের সাহায্য করবে? রবীনবাবুর জবাব, “কেউ ও রকম মামলা করলে দল তাঁর পাশে দাঁড়াবে।”
রবীনবাবু জানান, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৯ (ক) পরিচ্ছেদের ১৭১ (গ) ধারায় বলা আছে, ভোটারদের অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট দানে বাধা দেওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সে জন্যই ভোট দানে বাধা পেলে ভোটারদের মামলা করার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর ওই নেতার ব্যাখ্যা, “আমরা তো হিংসা মোকাবিলায় পাল্টা হিংসা করতে পারব না। ফলে সংবিধানসম্মত সমস্ত উপায়ই আমাদের ব্যবহার করতে হবে। তাই বিডিও, ডিএম, এসপি, নির্বাচন কমিশন ধাপে ধাপে এঁদের সকলের দ্বারস্থ হব। তাতে কাজ না হলে আদালত এবং জনতার আদালতে যেতে হবে।”
এই ভোটে পুলিশ-প্রশাসনের একাংশের ভূমিকা পক্ষপাতদুষ্ট বলেও অভিযোগ করেন রবীনবাবু। তাঁর অভিযোগ, আরামবাগের আইসি-র বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ পেয়ে তাঁকে বদলি করার নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তা পালন করা হয়নি। সিঙ্গুরের বিডিও বিষ্ণু কবিরাজকেও নির্বাচন কমিশন সতর্ক করেছে। কিন্তু তাতেও তিনি শুধরোননি। পঞ্চায়েত ভোটে বাম নেতাদের প্রচার করা আটকাতে অনেককেই মিথ্যা মামলায় জড়ানো হচ্ছে এবং এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও রবীনবাবুর অভিযোগ। তাঁর কথায়, “সিপিএমের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সম্পাদক মানবেশ চৌধুরীকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। খেজুরির হিমাংশু দাসের মতো কেউ কেউ জামিনে ছাড়া পেলেও তাঁদের এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।”
|