|
|
|
|
সবংয়ের তিনটি বুথে নির্বিঘ্নেই পুনর্নির্বাচন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
কড়া পুলিশি পাহারায় নির্বিঘ্নেই পুনর্নির্বাচন হল সবংয়ের তিনটি বুথে। বিকেল পাঁচটা নাগাদ ভোটপর্ব মেটে। ভোট পড়েছে প্রায় ৮৫ শতাংশ। এ দিন আর তেমন কোনও গোলমাল হয়নি। সবংয়ের বিডিও কৌশিক চট্টোপাধ্যায় বলেন, “শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচন হয়েছে।”
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে রবিবার সবংয়ের বুড়ালের ১৭৫ (২), ১৭৮ এবং ১৭৯, এই তিনটি বুথে ফের ভোট নেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার, নির্বাচনের দিন এই বুথগুলোয় ব্যালট ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছিল। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নির্বিঘ্নেই ভোট হয়। বুথের সামনে পুলিশি পাহারাও ছিল। বিকেল তিনটে নাগাদ একদল লোক আচমকাই বুথে ঢুকে ব্যালট পেপার ছিনতাই করে পালায়। লাইনে দাঁড়ানো ভোটার থেকে পোলিং অফিসার, সকলেই এই ঘটনায় হতবাক হয়ে যান। জেলা প্রশাসনের তরফে ঘটনাটি জানানো হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশনে। ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়।
কারা বুথে ঢুকে ব্যালট ছিনতাই করল? কংগ্রেসের অভিযোগ, তৃণমূলের লোকেরাই ব্যালট পেপার ছিনতাই করেছে। |
|
ফের ভোট। তবে খামতি নেই উৎসাহে। সবংয়ের বেসিক স্কুলে। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
আর তাতে মদত দিয়েছে সিপিএম। অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, কুৎসা ছড়াতে মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছে। তৃণমূলকে মদত দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিপিএমও।
অশান্তির আশঙ্কায় এ দিন বুড়ালে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। পাশেই পূর্ব মেদিনীপুরের সীমানা। সকাল থেকে দুই জেলার সীমানা এলাকায় তল্লাশি চলে। সকাল সাতটায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। পুনর্নির্বাচন নিয়ে কোনও দলই অবশ্য কোনও অভিযোগ করেনি। জেলা তৃণমূল নেতা অমূল্য মাইতি বলেন, “নির্বাচন নির্বিঘ্নে হয়েছে।” জেলা কংগ্রেস নেতা অমল পণ্ডার বক্তব্য, “নির্বাচন ঘিরে কোনও গোলমাল হয়নি। অশান্তির আশঙ্কা ছিল। তবে মানুষের মনোভাব বুঝে দুষ্কৃতীরা আর আগের মতো দাপিয়ে বেড়াতে পারেনি। ফলে, সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন হয়।”
পশ্চিম মেদিনীপুরের আরও একটি বুথে পুনর্নির্বাচন হবে। এই ১৪৪ (২) বুথটি রয়েছে দাসপুর- ১ এর সীমানা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। আগামী বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই এখানে পুনর্নির্বাচন হবে বলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন সেই নির্দেশই দিয়েছে। |
|
|
|
|
|