|
|
|
|
বামফ্রন্টের বৈঠক |
এ বার লড়াই পুরসভার, নতুন মুখের খোঁজ শুরু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পঞ্চায়েতের পর পুরসভা। ফের ‘নতুন মুখ’ খোঁজা শুরু।
বছর পাঁচেক আগে, ২০০৮ সালের ২৯ জুন মেদিনীপুর পুরসভা নির্বাচন হয়েছিল। পুরবোর্ড গঠন হয় ১৮ জুলাই। সেই অনুযায়ী, বর্তমান বোর্ডের মেয়াদ শেষে আগামী ১৮ জুলাই পুরসভা চলে যাবে প্রশাসকের হাতে। তারপর মেদিনীপুরের মহকুমাশাসক (সদর) বা তাঁর কোনও প্রতিনিধি পুরসভার কাজকর্ম দেখভাল করবেন। ইতিমধ্যে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পুরসভা নির্বাচন চেয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে চিঠি পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার।
বোর্ডের মেয়াদ ফুরনোর আগে নির্বাচন না হওয়ায় সরকার-বিরোধী আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বামেরা। নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়াও শুরু হয়েছে। প্রার্থী বাছাইয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে নতুন মুখে। রবিবার দুপুরে মেদিনীপুরে শহর বামফ্রন্টের এক বৈঠকে পুর-নির্বাচন সংক্রান্ত নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, কেন যথাসময়ে নির্বাচন হল না, এই প্রশ্নে আন্দোলন হবে। পুরসভার সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ হতে পারে। শনিবার মেদিনীপুরে দলের ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিয়েও বৈঠক করেন সিপিএম নেতৃত্ব। দলীয় সূত্রে খবর, পুর-নির্বাচনের নিরিখে আয়োজিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের শহর জোনাল কমিটির সম্পাদক কীর্তি দে বক্সী, জোনাল সদস্য সারদা চক্রবর্তী প্রমুখ। এক সময় যাঁরা শহরে এসএফআইয়ের সক্রিয় কর্মী-সমর্থক ছিলেন, তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তাঁদেরও বৈঠকে ডাকা হয়।
সিপিএম নেতৃত্বের মতে, এ বারের পুরভোটে রাস্তা-নিকাশি-পানীয় জলের মতো স্থানীয় বিষয়ের পাশাপাশি রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতিও গুরুত্ব পাবে। দলেরই এক সূত্রে খবর, বৈঠকে কীর্তিবাবু বলেন, “যাঁরা কোনও না-কোনও কারণে নিস্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন, তাঁদের সক্রিয় করে কাজে লাগাতে হবে। মানুষের কাছে বর্তমান পরিস্থিতির কথা তুলে ধরতে হবে। এখন শহরের স্কুলগুলোর সামনে অভিভাবকদের এতো ভিড় থাকে কেন? বিশেষ করে গার্লস স্কুলগুলোর সামনে? আগে তো থাকত না? আসলে চারিদিকে যা ঘটছে, তাতে অভিভাবকেরাও আর ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে নিশ্চিন্তে বাড়িতে থাকতে পারছেন না। তাঁরা যেমন ছেলেমেয়েকে স্কুলে ছেড়ে দিয়ে যাচ্ছেন। আবার ছুটি হলে সঙ্গে নিয়েও যাচ্ছেন।”
মেদিনীপুরে কখনও একক ভাবে পুরসভা দখল করতে পারেনি সিপিএম। দলীয় নেতৃত্ব মনে করছেন, আগে থেকে প্রস্তুতি শুরু করা গেলে এ বার ফল ভাল হবে। কারণ, রাজ্য সরকারের কাজকর্মে মানুষ তিতিবিরক্ত। বসে নেই তৃণমূলও। পুরবোর্ড দখলে রাখতে শাসকদল প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করেছে। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর নির্বাচন হবে ধরে নিয়েই দলের অন্দরে আলোচনা শুরু হয়েছে। চলছে বৈঠক। |
|
|
|
|
|