|
|
|
|
অসমকে উপজাতি রাজ্য ঘোষণার বিরোধিতা বরাকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
আলফা-র দাবি মেনে কেন্দ্র অসমকে উপজাতি রাজ্য হিসেবে ঘোষণা করলে তিনি আপত্তি করবেন না----মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের সাম্প্রতিক ওই মন্তব্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে বরাক উপত্যকায়। এ নিয়ে প্রতিবাদ আন্দোলনের পথে এগনোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন বরাক-বাসী।
গতকাল শিলচরে এক নাগরিক সম্মেলনে এ নিয়ে দ্রুত আন্দোলন শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ জন্য ২৯ সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার কমিটির সদস্যরা বৈঠকে বসে এ বিষয়ে রূপরেখা তৈরি করবেন।
নাগরিক সম্মেলনে হাজির ছিলেন কংগ্রেস বিধায়ক সুস্মিতা দেব এবং এআইইউডিএফ বিধায়ক আতাউর রহমান মাঝারভুঁইয়া। তাঁরা দু’জনেই অসমকে উপজাতি রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার প্রচেষ্টার বিরোধিতা করেন। সুস্মিতা জানান, বিষয়টি তিনি কংগ্রেস পরিষয়দীয় দলের বৈঠকে তুলবেন।
সিপিএম-এর কাছাড়-হাইলাকান্দি জেলা সম্পাদক সমীরণ আচার্য মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে চাননি। তিনি একে ২০১৪ সালে আসন্ন ভোটের রণকৌশল বলে চিহ্নিত করেন। এস ইউ সি আই (সি) নেতা শ্যামদেও কুর্মী বলেন, “উপজাতি রাজ্য হিসেবে ঘোষিত হলে অসম বধ্যভূমিতে পরিণত হবে। উপজাতি এবং অ-উপজাতি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত বাড়বে।” চা জনগোষ্ঠীকে উপজাতি স্বীকৃতির দাবিরও বিরোধিতা করেন তিনি।
‘নাগরিক অধিকার রক্ষা কমিটি’র সাধারণ সম্পাদক সাধন পুরকায়স্থ, ‘নাগরিক স্বার্থরক্ষা সংগ্রাম পরিষদে’র সাধারণ সম্পাদক হরিদাস দত্ত উপজাতি রাজ্যের মর্যাদার দাবির বিরোধিতা করেন। আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পরিতোষ পালচৌধুরী জানান, উপজাতি রাজ্য গঠনের চেষ্টা হলে তা চরম আপত্তিকর হবে। বিষয়টি পর্যালোচনা করে আন্দোলনসূচি চূড়ান্ত করতে হবে সবাইকে। |
|
|
|
|
|