|
|
|
|
সিধো-কানহু মুর্মু বিশ্ববিদ্যালয় |
স্নাতকোত্তরে বাংলাকে স্বীকৃতি দিতে উদ্যোগ রাষ্ট্রপতি ভবনের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
দুমকার সিধো-কানহু মুর্র্মু বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর স্তরে বাংলা ভাষার পঠনপাঠনে সরকারি স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে উদ্যোগ নিল রাষ্ট্রপতি ভবন। এ নিয়ে মে মাসের শেষ দিকে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যসচিবকে রাষ্ট্রপতির দফতর থেকে একটি চিঠি পাঠানো হয়। তাতে ওই বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
গত এপ্রিলে সাঁওতাল পরগনা সফরে যান রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। দুমকার সিধো-কানহু মুর্র্মু বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। ওই সময়ই সেখানকার ‘বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষা সমিতি’র প্রতিনিধিরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর স্তরে বাংলার পঠনপাঠনকে সরকারি স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে তাঁরা প্রণববাবুর হস্তক্ষেপ চান। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৮ বছর ধরে সেখানে স্নাতকোত্তর স্তরে বাংলা পড়ানো হলেও তার সরকারি অনুমোদন এখনও পাওয়া যায়নি।
রাজ্যের মুখ্যসচিবের দফতর সূ্ত্রের খবর, দুমকার ‘বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষা সমিতি’র কাছ থেকে ওই দাবিপত্রটি যে স্বয়ং রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন, তার উল্লেখও ওই চিঠিতে করা হয়েছে। এ বিষয়ে রাজ্য যে সিদ্ধান্ত নেবে, তা-ও সমিতিকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুখ্যসচিব রামসেবক মিশ্র অবশ্য এ নিয়ে কিছু বলতে চাননি। তিনি শুধু জানিয়েছেন, “চিঠিটি আমার দফতরে পৌঁছেছে কি না, তা খোঁজ নিয়ে দেখব। মানবসম্পদ উন্নয়ন বিভাগ এ নিয়ে কোনও তথ্য দিতে পারে।”
সংশ্লিষ্ট বিভাগের নিদের্শক (উচ্চশিক্ষা) ডি এন ওঝা বলেন, “আমাদের কাছে ওই রকম কোনও চিঠি আসেনি। স্নাতকোত্তর পর্যায়ে নতুন বাংলা বিভাগ খুলতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে প্রস্তাব পাঠাতে হবে।” গত বছর অগস্টে এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান হেমাদিত্য রায়চৌধুরী বলেন, “ওই চিঠিটি সঠিক নিয়ম মেনে পাঠানো হয়নি।” ‘বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষা সমিতি’র সম্পাদক গৌতম চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মুখ্যসচিব রাষ্ট্রপতি ভবনের চিঠির কথা অস্বীকার করতে পারেন না।” |
|
|
|
|
|