|
|
|
|
বিধানসভায় সমস্যার আশঙ্কায় হেমন্ত |
অধ্যক্ষের পদ ছাড়তে নারাজ চন্দ্রপ্রকাশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
ঝাড়খণ্ডে জোট সরকার গঠন নিয়ে নতুন ‘নাটক’ শুরু হয়েছে।
১৮ জুলাই বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের কথা জানিয়েছেন নবনিযুক্ত মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। কিন্তু পরিস্থিতি জটিল করে দিয়েছেন বিধানসভার বর্তমান অধ্যক্ষ বিজেপি-র চন্দ্রপ্রকাশ সিংহ। তিনি জানিয়েছেন, আপাতত বিধানসভার অধ্যক্ষের পদ ছাড়ছেন না। আজ তিনি বলেন, “আগে দেখতে হবে বিধানসভা সংবিধান মেনে চলছে কি না। তারপর যা করার করব।”
বিশেষজ্ঞ মহলের বক্তব্য, সাধারণ ক্ষেত্রে কোনও রাজ্যে নতুন সরকার গঠন হলে পূর্বতন সরকারের আমলের বিধানসভার অধ্যক্ষ ইস্তফা দিয়ে দেন। তবে নবনিযুক্ত সরকার পুরনো অধ্যক্ষকে মেনে নিলে বিধানসভার কাজকর্মে কোনও সমস্যা হয় না।
কিন্তু, এ ক্ষেত্রে জেএমএম-এর পক্ষে পরিস্থিতি অন্যরকম। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট সরকার গঠনের পর বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে হেমন্তকে। বিধানসভায় বিজেপি-র অধ্যক্ষ থাকলে তাতে সমস্যা হতে পারে বলে জেএমএম-এর আশঙ্কা। এর পিছনে বিজেপি-র রাজনৈতিক কোনও কৌশল রয়েছে বলেও তাদের ধারণা।
তাঁদের চিন্তার কারণ, দুই জেএমএম বিধায়ক সীতা সোরেন এবং নলিন সোরেন। জেএমএম-এর এক নেতার বক্তব্য, “সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ওঁদের দু’জনের ভোট গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কয়েকটি মামলায় দু’জনকেই পুলিশ-প্রশাসন খুঁজছে। সে দিন বিধানসভায় গেলে অধ্যক্ষ তাঁদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিতে পারেন।” জেএমএম শিবিরের আশঙ্কা, শুধু এ-ই নয়, নতুন সরকারের পক্ষ নেওয়া নির্দল যে সব বিধায়কের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে, আইনের কথা বলে তাঁদেরও ভোট দিতে বাধা দেওয়া হতে পারে। সে ক্ষেত্রে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে সমস্যার মুখে পড়বেন হেমন্ত।
রাজনৈতিক মহলের খবর, চন্দ্রপ্রকাশকে ইস্তফা দিতে রাজি করতে শনিবার রাতেই তাঁর বাড়িতে যান কংগ্রেসের নেতারা।
এই পরিস্থিতিতে যে কোনও উপায়ে সরকারের সংখ্য্যগরিষ্ঠতা প্রমাণে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিধায়ক জোগাড় করতে তৎপর জেএমএম-কংগ্রেস জোট। সূত্রের খবর, আজ ধানবাদের একটি জেলে বন্দি ‘ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চা’র বিধায়ক ঢুল্লু মাহাতোর সঙ্গে দেখা করেন জেএমএম নেতা মথুরাপ্রসাদ মাহাতো। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেসের বিধায়ক মান্নান মল্লিক। ‘ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চা’র বোকারো কেন্দ্রের বিধায়ক সমরেশ সিংহকেও বিধানসভায় সরকারের পক্ষে সমর্থনের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে রাজনৈতিক মহলের খবর।
এ দিকে, ভাঙনের আভাস মিলেছে বিজেপি শিবিরেও। একটি বিতর্কে অভিযুক্ত লাতেহারের বিধায়ক বৈজনাথ রামকে কয়েক মাস আগে সাসপেণ্ড করেছিল বিজেপি। আজ তিনি হুমকির সুরে জানিয়েছেন, ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে দল তাঁর বিষয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ না-নিলে তিনি অন্য পথে এগতে পারেন। দলীয় নেতৃত্বকে চাপে রাখতে হেমন্ত সোরেনকেও শুভেচ্ছা জানান তিনি। |
|
|
|
|
|