নির্বাচনী প্রচারে বীরভূমে এসে তৃণমূল সরকারকে বিঁধলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ। রবিবার বিকেল তিনটে নাগাদ তিনি প্রথম সভাটি করেন দুবরাজপুরের গোহালিয়াড়া পঞ্চায়েতের মেটেলা গ্রামে। স্থানীয় ধর্মরাজ মন্দির লাগোয়া মাঠে সভা হয়। ওই সভায় বিজেপির জেলা সভাপতি দুধকুমার মণ্ডল ছাড়াও বেশ কিছু জেলা ও ব্লক স্তরের বিজেপি নেতারা উপস্থিত ছিলেন। |
সভার মাঝে। ছবি: দয়াল সেনগুপ্ত। |
এ দিন প্রচারসভা থেকে রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট করতে না চাওয়া, রাজ্যে বেড়ে চলা নারী নির্যাতন, কৃষকদের আত্মহত্যা, বেকার সমস্যা-সহ তৃণমূল সরকারের বিভিন্ন নীতিকে তীব্র আক্রমণ করেন। রাহুলবাবুর দাবি, “রাজ্য সরকার যে সাম্প্রদায়িক খেলা শুরু করেছেন, তার ফল মারাত্মক হবে।” পাশাপাশি সিপিএম ও কংগ্রেসকেও একহাতচ নেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। মেটালা গ্রামের সভা সেরে তিনি সিউড়ির কড়িধ্যায় চলে যান। দলের জেলা নেতৃত্বের দাবি, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে বীরভূম জেলায় বিজেপি ভাল ফল করবে।
|
যানজটের সমস্যা মেটাতে লালপুল সম্প্রসারণ নিয়ে এ বার কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরীর দ্বারস্থ হল বোলপুর শহর ও ব্লক কংগ্রেস। স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, সম্প্রতি তাঁরা লালপুলের সম্প্রসারণ নিয়ে একটি বৈঠকে করে মন্ত্রীর কাছে এ নিয়ে দরবার করেছেন। বোলপুর পুরসভার বিরোধী দলনেতা তথা বোলপুর ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি মহম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “দীর্ঘ দিন ধরে এই লালপুল সম্প্রসারণ আটকে আছে। আমরা বিভিন্ন সময়ে কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রীদের কাছে বারবার দ্বারস্থ হয়েছি। কোনও এক অজ্ঞাত কারণে ওই কাজ আটকে আছে। আমরা অধীরবাবুর সঙ্গে দেখা করে সমস্যার কথা আলোচনা করেছি। সবিস্তার তাঁকে লিখিতও জানিয়েছি।” লালপুল-সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে বলে অধীরবাবু তাঁদের জানিয়েছেন। বোলপুর শহরের মধ্যে দিয়ে বর্ধমান-রামপুরহাট লুপ লাইন গিয়েছে। ওই লুপ লাইনের উপরে থাকা লালপুল সঙ্কীর্ণ হওয়ায় এবং প্রতিনিয়ত হাজার হাজার যানবাহন সেখান দিয়ে আসা-যাওয়া করায় সমস্যা বেড়েছে। যার জেরে দিনের বেশির ভাগ সময়ই যানজটে এলাকাবাসী নাকাল হন।
|
অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক মাঝ বয়সী ব্যক্তির। শনিবার দুপুরে নলহাটির আশ্রমপাড়ার ঘটনা। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম বিজয়কুমার ধর (৪৪)। আশ্রমপাড়াতেই তাঁর বাড়ি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার দুপুরে বিজয়কুমারবাবুর বাড়িতে অন্য কেউ ছিলেন না। পরিবারের সদস্যদের দাবি, তাঁদের অনুপস্থিতির সুযোগে বিজয়বাবু গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী হন। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ বাড়িতে আগুন দেখে বিষয়টি নজরে আসে। তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে মৃত অবস্থায় বিজয়বাবুর দেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরে ওই ব্যক্তি আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারেন। পুলিশ দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। |