সংস্কৃতি যেখানে যেমন
জীবন ফার্মেসি
আমার প্রত্যেক বন্ধুর
একটি করে কুকুর আছে
তারা মাংস ভালবাসে,
তারা শিক্ষিত
প্রত্যহ সকালে
মর্নিং ওয়াক করে বাধ্য বকলসে
প্রতিমাসে সুসময়ে
স্নান সেরে নেয়
লোম আঁচড়াতে দেয়
তারা রাত জাগে আর
একটা চামড়ার বল পেলে
শিশুর মতো খুশি হয়।
—রাহুল বিদ
সাধারণ, পথ চলতি জীবনযাপন-আড্ডা থেকে উঠে আসা বিশেষ কিছু মুহূর্ত, বিশেষ কিছু কথা। কখনও সেই সহজ-মুহূর্ত-কথার অন্দরে থাকছে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ। মানুষের নানা প্রবণতার মুখোমুখি সমালোচনাও। সিউড়ির ছেলে, লিটল ম্যাগাজিন জগতের পরিচিত তরুণ কবি রাহুল বিদের সাম্প্রতিক কাব্যগ্রন্থ ‘জীবন ফার্মেসি’তে ছড়িয়ে আছে এমনই কিছু মণিমুক্তো। আর কবির শব্দ নিয়ে এই নিপুণ খেলাই কবিতাগুলিকে পৌঁছে দিয়েছে বিশেষ ভাললাগার জায়গায়। যে ভাললাগার থেকেই পাঠকের মন ছুঁয়ে যায় এই কবিতার প্রথম লাইনে—
পাশ ফিরে শুলো
মালপাড়ার
ঢাপালো শরীর মেয়েটি।

টুলুর ‘অনামী’
নামটা ‘অনামী নাট্যসংস্থা’। কিন্তু নাট্যপ্রেমীরা মুখিয়ে থাকেন তাঁদের অভিনয় দেখার জন্য। রামপুরহাটের ‘অনামী’তে ৩৩ জন অভিনয় করেন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন মহিলা। দলের পরিচালক সৈয়দ কুদরত-এ-কবীর (টুলু)। পরিচালক এখন ৫৩। অভিনয় শুরু করেছিলেন সেই ২১ বছর বয়সে। রামপুরহাটের ‘মাস’ থিয়েটারের পরিচালক সমীর চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে। কার্যত সমীরবাবুর হাতে মার খেতে খেতেই নাটকের গভীরে ঢুকে পড়েছিলেন টুলু। সরকারি চাকুরিজীবী সমীরবাবু বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার পরে টুলু নিজেই ১৯৮২ সালে তৈরি করেন নাটকের দল ‘অনামী নাট্যসংস্থা’। এই কয়েক বছরে তাঁর দল প্রায় ২০টি নাট্য প্রযোজনা দর্শকদের উপহার দিয়েছে। মঞ্চস্থ হয়েছে ৩০০ বারেরও বেশি। এবং সব ক’টিই ‘হিট’। দর্শকেরা এখনও মনে রেখেছেন ‘পুতুল নাচের কাব্যি’, ‘গাব্বু খেলা’, ‘তেঁতুলগাছ’, ‘বাবুদের ডালকুকুরে’র মতো প্রযোজনাগুলি।

স্মরণসভা
প্রয়াত গণসঙ্গীত শিল্পী অজিত পাণ্ডের স্মরণসভা হল বোলপুরে। রবিবার সন্ধ্যায় টাউন হলে অনুষ্ঠিত ওই সভার উদ্যোক্তা ছিল পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সঙ্ঘের বোলপুর-শান্তিনিকেতন শাখা। সঙ্গীত পরিবেশন করেন লোকসঙ্গীতের বিশিষ্ট শিল্পী শুভেন্দু মাইতি। এ ছাড়া যোগ দেন শিল্পী শুভপ্রসাদ নন্দী মজুমদার, শান্তনু দত্ত-সহ বহু বিশিষ্ট জন। অনুষ্ঠানে প্রয়াত শিল্পীকে নিয়ে আলোচনাও করা হয়। অনুষ্ঠানে একটি নাটক মঞ্চস্থ করে কলকাতার নাট্য গোষ্ঠী ‘স্পন্দন’।

ভ্রমণকথা
গ্রন্থটির নাম ‘মধ্য বলয়ে শৈব ক্ষেত্র’। লেখক সিউড়ির রঘুনাথ মণ্ডল। মধ্য ভারতের বিভিন্ন মন্দির পর্যবেক্ষণ করে নিপুণ ভাবে বর্ণনা করেছেন। পাশাপাশি সেখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলীও রঘুনাথবাবুর সহজ সরল লেখায় অসাধারণ ভাবে ফুটে উঠেছে। সঙ্গে অজস্র মন্দিরের ছবি, পথ নির্দেশিকা। এমনকী বইটিতে মিলবে নানা জায়গায় থাকার ঠিকানাও। এমন যত্ন নিয়ে তৈরি ভ্রমণ সংক্রান্ত বইটি পড়তে পড়তে পাঠক কখন যেন ওই নির্দিষ্ট স্থানেই পৌঁছে যান!



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.