রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি দশ চাকা লরি থেকে চালকের মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। রবিবার সকালে রাজনগর থানার পাথরচাপুড়ির কাছে সিউড়ি-চন্দ্রপুর রাস্তার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রাজা আলম (৩০)। তাঁর বাড়ি বিহারে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই চালককে খুন করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার গভীর রাত থেকেই স্থানীয় পাতাডাঙা প্রাথমিক স্কুলের কাছে রাস্তার উপরে ওই লরিটি দাঁড় করানো ছিল। এ দিন সকালে গাড়িটির পিছনের তিনটি চাকা উধাও দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ কৌতূহলী হয়ে লরির ভিতরে উঁকি মারতেই মৃতদেহটি দেখতে পান। এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। |
তদন্তে পুলিশ।— নিজস্ব চিত্র। |
লরিটিকে দেখতে ভিড়ও জমতে শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছন লরির খালাসি, মহম্মদবাজারের বাসিন্দা রব্বুল আনসারি। তাঁর বক্তব্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। তাঁর দাবি, “শনিবার কলকাতার খিদিরপুর এলাকায় পাথর সাপ্লাই দিয়ে এসে ফের পাঁচামিতে পাথর আনতে আসছিলাম। পথে রাজার দুই পরিচিত ব্যক্তি গাড়িতে ওঠে। রাত তিনটে নাগাদ সিউড়ির লেভেল ক্রসিংয়ের কাছে জ্যাম ছিল। আমি একটু নেমেছিলাম। কিন্তু ওঠার আগেই গাড়িটি আমাকে ছেড়ে চলে যায়। পরে সকালে এই ঘটনার কথা জানতে পারি।” যদিও প্রশ্ন উঠছে, খালাসিকে না তুলেই লরিটি চলে যাওয়ার দাবিটি কতটা বাস্তবসম্মত। এ ছড়া শনিবার রাতে ওই খালাসি কোথায় ছিলেন কিংবা কীভাবে তিনি আগেই খুনের কথা জানতে পারলেন এই প্রশ্নগুলির সদুত্তর মিলছে না। পুলিশ যদিও খালাসিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
এ দিকে, সিউড়ি ও রাজনগর থানার মাঝামাঝি এলাকায় ওই লরিটি দাঁড় করানো ছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে সিউড়ি থানায় ঘটনার খবর দেন। পরে জানা যায় এলাকাটি রাজনগর থানার অন্তর্গত। তখন খবর যায় রাজনগর থানায়। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য সিউড়ি সদর হাসপাতালে পাঠায়। |