ফোন ও নেটে আড়িপাতার বিপুল বন্দোবস্তের কথা ফাঁস করে মার্কিন সরকারের রোষনজরে পড়েছেন এডওয়ার্ড জে স্নোডেন। ফলে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন তিনি। রাশিয়ায় আশ্রয় নিতে চাইলেও আমেরিকার চাপে সরাসরি স্নোডেনকে আশ্রয়ও দেওয়া সম্ভব হয়নি রাশিয়ার। এ অবস্থায়, গত তিন সপ্তাহ ধরে মস্কোর বিমানবন্দরই ঘরবাড়ি হয়ে গিয়েছে স্নোডেনের।
কিন্তু যে তথ্য ফাঁস করে নিজের দেশের সরকারের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন স্নোডেন, সেই সরকারের আরও অনেক গোপন তথ্য নাকি তাঁর ঝুলিতে রয়েছে। অন্তত এমনটাই দাবি গ্লেন গ্রিনওয়াল্ডের। গ্লেনই প্রথম সাংবাদিক যিনি স্নোডেনের কথা বিশ্ববাসীকে জানিয়েছিলেন। একটি আর্জেন্তিনীয় সংবাদপত্রে গ্লেন দাবি করেছেন, মার্কিন সরকারের আরও ক্ষতি করার মতো তথ্য স্নোডেনের কাছে থাকলেও তিনি তা প্রকাশ করেননি। কারণ, স্নোডেন নাকি শুধু জনগণকে মার্কিন সরকারের কাজকর্ম সম্পর্কে সতর্ক করে দিতে চেয়েছিলেন।
দক্ষিণ আমেরিকার কোনও দেশে পাকাপাকি আশ্রয় নেওয়ার আগে পর্যন্ত রাশিয়াতেই থাকতে চান বলে শুক্রবার কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন স্নোডেন। তার পরেই রাশিয়া মার্কিন আপত্তি অগ্রাহ্য করে স্নোডেনকে আশ্রয় দিতে রাজি হয়। তবে রাশিয়ার তরফে শর্ত দেওয়া হয়েছে স্নোডেন আর তথ্য ফাঁস করতে পারবেন না। রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সেগেই ল্যাভরভ জানিয়েছেন, রাজনৈতিক আশ্রয় পেতে হলে স্নোডেনকে প্রথমে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।
তার পর নিয়ম অনুযায়ী স্নোডেনকে আশ্রয় দেওয়া হবে কি না দেখা হবে। তবে গত কাল পর্যন্ত স্নোডেনের কোনও আবেদন তাঁদের কাছে জমা পড়েনি বলে জানিয়েছেন সেগেই। তবে রাশিয়ার এই
পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছে মার্কিন সরকার। |