এডওয়ার্ড জে স্নোডেনকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে চায় ভেনেজুয়েলা ও নিকারাগুয়া। ওয়াশিংটনের হুমকিকে তোয়াক্কা না করেই দক্ষিণ আমেরিকার দুই দেশের প্রস্তাব আমেরিকাকে ফের অস্বস্তিতে ফেলল বলে মনে করা হচ্ছে।
আমেরিকায় ফোন ও ইন্টারনেটে গোয়েন্দাদের ব্যাপক নজরদারির কথা ফাঁস করে দিয়েছিলেন প্রাক্তন মার্কিন গুপ্তচর স্নোডেন। ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে চরবৃত্তি ও গোপন তথ্য ফাঁসের অভিযোগ রয়েছে মার্কিন আদালতে। উইকিলিকস ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষের সাহায্যে হংকং থেকে পালিয়ে মস্কোয় যান তিনি। সেখানে মস্কো বিমানবন্দরের ‘ট্রানজিট লাউঞ্জে’ রয়েছেন তিনি। সরকারি ভাবে রাশিয়ার মাটিতে পা না দেওয়ায় আমেরিকার প্রত্যর্পণের অনুরোধ এড়াতে পেরেছে মস্কো।
কিন্তু, রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে স্নোডেনের আর্জি ফিরিয়েছে ভারত-সহ ২১টি দেশ। তবে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো স্পষ্টই বলেন, “মানবিক কারণে স্নোডেনকে আশ্রয় দিতে আমরা রাজি। তাতে স্নোডেন সাম্রাজ্যের (আমেরিকা)
হাত এড়াতে পারবেন।” প্রায়
একই সুর নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগার। তাঁর কথায়, “স্নোডেনকে আশ্রয় দেওয়ার অধিকার আমাদের আছে।”
ওয়াশিংটনের সঙ্গে মোটেই ভাল সম্পর্ক নয় ভেনেজুয়েলার। ওয়াশিংটনের ঘোষিত প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সে দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট উগো চাভেস। তার উপরে যোগ হয়েছে আরও একটি ঘটনা। গত সপ্তাহে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেসের বিমানকে ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে নামতে দেওয়া হয়নি। বলিভিয়ার দাবি, ওই বিমানে স্নোডেন থাকতে পারেন ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইউরোপের দেশগুলি। কারণ, স্নোডেনকে আশ্রয় না দিতে তাদের চাপ দিচ্ছে আমেরিকা। ফলে, এখন ওয়াশিংটনের উপরে যারপরনাই ক্ষুব্ধ লাতিন আমেরিকার দেশগুলি। তাই স্নোডেনকে আশ্রয় দিয়ে ‘বদলা’ নিতে চাইছে তারা।
উইকিলিকসের তরফে টুইটারে জানানো হয়েছে, স্নোডেন মস্কোয় আরও ছ’টি দেশের দূতাবাসে আশ্রয় চেয়ে আর্জি পাঠিয়েছেন। মার্কিন চাপের জন্য দেশগুলির নাম প্রকাশ করা উচিত নয়। ভেনেজুয়েলা ও বলিভিয়ার প্রস্তাব নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি মার্কিন বিদেশ দফতর।
|