ত্রাণ বাবদ বরাদ্দ চিঁড়ে-গুড়ের মান নিয়ে শাসক দলের কাউন্সিলর রঞ্জন শীলশর্মার অভিযোগ কার্যত উড়িয়ে দিল শিলিগুড়ি মহকুমা প্রশাসন। শনিবার শিলিগুড়ির মহকুমাশাসক রচনা ভকত জানিয়ে দেন, ত্রাণসামগ্রী পুরসভার অনেক ওয়ার্ডে দরকার ছিল। পুরসভাকে পাঠানো ত্রাণ সেই সব ওয়ার্ডে গিয়েছে। মহকুমাশাসক বলেন, “চিঁড়ে-গুড়ের মান নিয়ে একজন কাউন্সিলর অভিযোগ করলেও বাকিরা সন্তুষ্ট। এমনকী, যে চিঁড়ে-গুড় ফেরত দেওয়া হয়েছে, তা আমাদের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটরা খেয়ে দেখেছেন। তার মান ঠিকই আছে।”
শুক্রবার শিলিগুড়ি পুরসভার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রঞ্জনবাবু একটি প্লেটে চিঁড়ে-গুড় নিয়ে মেয়র গঙ্গোত্রী দত্তের অফিসে ঢুকে হইচই করেন। চার দিন আগে নিয়ে যাওয়া প্রায় ৪০০ কেজির ত্রাণসামগ্রী ফেরত দেন তিনি। ওই পরিমাণ ত্রাণ নিয়েও কেন চার দিনে এতটুকুও বিলি করেননি, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার ঠিক পরের দিনই ওই কাউন্সিলর তা ফিরিয়ে দেন। তাঁর সেই ভূমিকা নানা মহলে প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
পুরসভা সূত্রের খবর, সে দিন নিম্নমানের সামগ্রী বলে অভিযোগ করে তাঁকে তা খেতে বলেন রঞ্জনবাবু। সেখানে মেয়রকে ‘নির্লজ্জ, অকর্মন্য, অপদার্থ’ বলেও অভিযোগ করেন রঞ্জনবাবু। এর পরেই মেয়র চিঁড়ে-গুড় মহকুমা প্রশাসনের কাছে পাঠিয়ে দেন। কারণ, মহকুমাশাসকের মাধ্যমেই রাজ্য সরকার ওই ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়েছিল। শাসক দলের কাউন্সিলর হয়ে রঞ্জনবাবু যে অভিযোগ করেছেন, তার সারবত্তা নেই বলে মহকুমা প্রশাসন জানানোয় তৃণমূল অন্দরে আলোড়ন পড়েছে। ওই ঘটনায় রঞ্জনবাবুর ভূমিকা নিয়ে কংগ্রেসের কাউন্সিলররা সরব হয়েছেন। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রুমা নাথ বলেন, “বোর্ডকে আর মেয়রকে হেনস্থা করার জন্যই তিনি এটা করেছেন।” ডেপুটি মেয়র সবিতা অগ্রবালও মনে করেন, জনপ্রতিনিধিদের আচরণ সংযত হওয়া দরকার। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা পূর্ত বিভাগের মেয়র পারিষদ সুজয় ঘটক বলেন, “রাজনৈতিক বিরোধিতা থাকলেও জনপ্রতিনিধিদের এমন অভব্য আচরণ করা উচিত নয়।”
|