প্রথম দফায় ৭৩ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া যায়নি। সোমবার দ্বিতীয় দফাতেও ৬৬ শতাংশের বেশি বুথে ভোট হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়াই। শনিবার এ কথা জানিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নিয়ম মানতে গিয়েই এই পরিস্থিতি।
সোমবার পঞ্চায়েতের দ্বিতীয় দফায় ভোট হবে পূর্ব মেদিনীপুর, হুগলি এবং বর্ধমান জেলায়। ওই তিন জেলায় মোট বুথ রয়েছে ১২ হাজার ৫৪০টি। তার মধ্যে একটি মাত্র বুথ রয়েছে, এমন ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৬,০৫২টি। আদালতের নির্দেশ ছিল, অতি সংবেদনশীল ভোটকেন্দ্রের প্রতিটি বুথ পাহারায় দু’জন সশস্ত্র পুলিশ এবং দু’জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানকে রাখতে হবে। এ দিকে, নিয়ম অনুযায়ী এক সঙ্গে চার জনের কম কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা যায় না। ফলে যে সমস্ত ভোটকেন্দ্রে একটিই মাত্র বুথ, প্রথম দফায় সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া যায়নি। দ্বিতীয় দফাতেও সেই একই সমস্যা হতে চলেছে।
কমিশন অবশ্য দ্বিতীয় দফার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে তুলনামূলক ভাবে বেশি ব্যবহার করা যাবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে। শনিবার কমিশনের সচিব তাপস রায় বলেন, “প্রথম দফায় জঙ্গলমহলের ভোটে (এলাকা-পিছু) অন্তত এক সেকশন (৭ জন) জওয়ান নিয়োগের নীতি নেওয়া হয়েছিল। (মাওবাদী প্রভাবিত এলাকায় বাহিনী এই হিসেবেই বাহিনী মোতায়েন হয়ে থাকে।) কিন্তু এ বার জঙ্গলমহলের বাইরের জেলাগুলিতে ওই নিয়ম শিথিল করে কমপক্ষে ৪ জনকে নিয়োগ করা হবে। স্বভাবতই প্রথম দফার তুলনায় এ বার বেশি এলাকা ও বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া যাবে।”
এ দিন রাজ্য বামফ্রন্টের এক প্রতিনিধিদল কমিশনের সচিবের সঙ্গে দেখা করে জঙ্গলমহলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবহার ঠিকমতো না হওয়ার অভিযোগ জানায়। সিঙ্গুরের বিডিও-র বিরুদ্ধে শাসকদলের পক্ষপাতিত্ব ও স্থানীয় সিপিএম নেতাদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুলে তাঁর অপসারণের দাবিও জানান বাম নেতারা। কমিশনের সচিব জানান, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। তবে বাইক-বাহিনীর বিরুদ্ধে পুলিশের তৎপরতা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। এ দিন দুপুরে আরামবাগের হরিণখোলায় তৃণমূলের বাইক-বাহিনীর চার জনকে পুলিশ আটক করেছে। সচিব জানান, দ্বিতীয় দফার ভোটে বেশ কিছু জায়গায় শাসক দলের অন্তর্দলীয় সংঘাতের আশঙ্কা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বর্ধমানের রায়না, খণ্ডঘোষ, হুগলির আরামবাগ, ধনেখালি, হরিপাল, তারকেশ্বর এবং পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম, খেজুরি, পটাশপুর, ভগবানপুর-২ ব্লক। এ ছাড়া এগরার কিছু এলাকাতেও শাসক দলের গোষ্ঠী-সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছে কমিশন। |