শেষ দফায় উত্তরবঙ্গের চার জেলার পঞ্চায়েত নির্বাচনে পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি করলেন কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী দীপা দাশমুন্সি। শুক্রবার দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রচারসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে ওই দাবি জানান কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। দীপা দেবী বলেন, “বৃহস্পতিবার প্রথম দফার ভোট কতটা নিরপেক্ষভাবে করানো গিয়েছে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।” তাঁর প্রশ্ন, “বুথের ভেতরে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকে। বাইরে কি হচ্ছে দেখা সম্ভব নয়। ভয় দেখিয়ে গ্রাম থেকে মানুষকে ভোট দিতে যেতে দেওয়া হয়নি।” দীপাদেবীর সন্দেহ, “রাজ্য সরকার বিশাল পুলিশ বাহিনী দিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বসিয়ে রেখে শেষ দফায় ভোট করাবে। |
হিলিতে কর্মিসভায় দীপা। —নিজস্ব চিত্র |
হাওড়া উপনির্বাচনে একই জিনিস দেখেছি।” ২৫ জুলাই শেষ দফায় পঞ্চায়েত ভোট হবে দক্ষিণ এবং উত্তর দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহার জেলায়। এ দিন দক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “জেলার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৪ শো জনকে পাওয়া যাচ্ছে।” প্রশাসন সূত্রের খবর, জেলায় বুথের সংখ্যা ১১৫৭টি। স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে প্রায় ৩০০টি।
বিধি অনুযায়ী স্পর্শকাতর বুথ পিছু ৪ জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হয়। সে তুলনায় কেবল দক্ষিণ দিনাজপুরেও যে পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই। তা জেনে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দীপাদেবী প্রকাশ্য সভায় অভিযোগ করেন, “চার জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা মাত্র দু’হাজার। শেষ পর্যায়ের ভোট নিয়ে আমি আরও আতঙ্কিত।”
এ দিন দীপা দেবী দাবি করেন, গত বিধানসভা ভোটে সনিয়া গাঁধী, মনমোহন সিংহ পাশে না দাঁড়ালে তৃণমূল ক্ষমতা দখল করতে পারত না। তাঁর কটাক্ষ, “যে হেলিকপ্টার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সারা বাংলা ঘুরে প্রচার করেছিলেন, তার ভাড়া কংগ্রেস না দিলে বামফ্রন্টকে কি সরানো যেত?” তিনি রায়গঞ্জে কংগ্রেসকে শেষ করার চক্রান্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগ, “রায়গঞ্জে কংগ্রেসকে শেষ করতেই হবে। জেদের বশেই এখানে এইমস-এর ধাঁচে হাসপাতাল করা যাবে না।” |