পেনশনে দেরি করায় দুই প্রধান শিক্ষককে আদালতে হাজির করানোর জন্য হুগলি ও বর্ধমানের পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। দুই এসপি-র কেউই সেই নির্দেশ পালন করেননি। আদালত অবমাননার দায়ে পড়েছেন দু’জনেই। তাঁদের মধ্যে এক জন শুক্রবার উচ্চ আদালতে হাজির হয়ে ক্ষমা চেয়েছেন। আর অন্য পুলিশ সুপারকে হাইকোর্টে হাজির হয়ে জানাতে হবে, আদালতের আদেশ অমান্য করার দায়ে তাঁকে জেলে পাঠানো হবে না কেন।
কোন্নগর কানাইপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করানোর জন্য হুগলির পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ সুপার সেই নির্দেশ পালন করেননি। বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত তাঁকে আদালতে হাজির হয়ে কেন নির্দেশ অমান্য করেছেন, তা জানাতে বলেন।
তন্ময়বাবু এ দিন হাইকোর্টে হাজির হয়ে জানান, তিনি ইচ্ছে করে এই কাজ করেননি। সমন্বয়ের কিছু অভাবেই এই ঘটনা ঘটেছে। বিচারপতি তাঁকে হলফনামা দিয়ে বক্তব্য জানাতে বলেন। সেই সঙ্গেই পুলিশ সুপারের হাত থেকে ওই প্রধান শিক্ষককে হাজির করানোর দায়িত্ব সরিয়ে নেওয়া হয়। ওই
প্রধান শিক্ষককে আদালতে আনার জন্য এ বার বর্ধমান রেঞ্জের ডিআইজি-কে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
বর্ধমান রেঞ্জের ডিআইজি এ দিন একই ধরনের অন্য একটি মামলায় সীতাহাটি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করে হাইকোর্টে আনেন। এ ক্ষেত্রেও প্রথমে ওই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বর্ধমানের পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জাকে। কিন্তু তিনি ওই প্রধান শিক্ষককে আদালতে হাজির করাতে পারেননি। হাইকোর্ট শেষ পর্যন্ত ডিআইজি-কে সেই দায়িত্ব দেয়।
বিচারপতি জানিয়ে দিয়েছেন, আদালতের নির্দেশ অমান্য করায় ওই পুলিশ সুপারকে ২ অগস্ট হাইকোর্টে হাজির হয়ে জানাতে হবে, কেন তাঁকে জেলে পাঠানো হবে না। |