ভোট গ্রহণ পর্বের শেষেও রাজনৈতিক গণ্ডগোল অব্যাহত দুই জেলায়। রাজনৈতিক দলগুলি একে অপরের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ এনেছে। বাঁকুড়ার পাত্রসায়র থানার নারিচ্যা মোড়ের কাছে শুক্রবার সকালে সিপিএমের এক পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষকে রাস্তায় ফেলে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। প্রহৃত ওই সিপিএম নেতার দুলাল দত্তের বাড়ি নারিচ্যা গ্রামে। পাত্রসায়র পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন। তাঁর অভিযোগ, “এ দিন বাজার থেকে সাইকেলে বাড়ি ফিরছিলাম। নারিচ্যা মোড়ের কাছে শিমূলতলা এলাকায় দুই তৃণমূল কর্মী ভৈরব সাঁতরা ও আদিত্য লোহার রাস্তা আটকে কেন ভোট দিয়েছি, তার কৈফিয়ৎ চায়। তার পরেই ওরা আমাকে রাস্তায় ফেলে মারতে থাকে। বাড়িতে ভাঙচুরের হুমকিও দেয়।” ফের হামলা হতে পারে, এই ভয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে পারেননি বলে দাবি তাঁর। তৃণমূলের পাত্রসায়র ব্লক সভাপতি স্নেহেশ মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “আমাদের কর্মীদের ফাঁসানোর জন্য মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।”
পাত্রসায়রের মতো পুরুলিয়ার মানবাজারে এ দিনই এক তৃণমূল কর্মী ও তাঁর ছেলেকে মারধর এবং কাশীপুরে তৃণমূল পার্টি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে সিপিএমের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের এক দল কর্মী মানবাজার পোস্টঅফিস মোড়ে জমায়েত হলে সিপিএমের একদল কর্মীর সঙ্গে বচসা ও পরে হাতাহাতি হয়। এক্ষেত্রেও কেউ কোনও লিখিত অভিযোগ করেনি। অন্য দিকে, তৃণমূলের কাশীপুর ব্লকের নেতা তথা বিধায়কের ছেলে সৌমেন বেলথরিয়া অভিযোগ করেন, “চন্দন চট্টোপাধ্যায়-সহ কয়েকজন সিপিএমের কর্মী ব্লক কার্যলয়ে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করেছিল। সেই সময় তৃণমূল কর্মীরা কার্যালয় থেকে একটু দূরে ছিল। ভাঙচুর হচ্ছে দেখে তারা ছুটে এসে চন্দনকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তার বিরুদ্ধে ভাঙচুরের অভিযোগ জানানো হয়েছে।” সিপিএম সাংসদ বাসুদেব আচারিয়ার দাবি, “সাজানো ঘটনা। চন্দন আমাদের ছাত্র সংগঠনের কর্মী। তাকে এ দিন তৃণমূলের বিধায়ক দলীয় কার্যালয়ে ডেকে সিপিএম করার অপরাধে মারধর করে মিথ্যা অভিযোগ পুলিশের হাতে দিয়েছে।” সাংসদের আরও দাবি, পুলিশের উপস্থিতিতে তৃণমূলের কর্মীরা থানায় চন্দনের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া দয়াময় দেওঘরিয়াকে মারধর করেছে। অবশ্য তৃণমূলের কারও বিরুদ্ধে শুক্রবার রাত পর্যন্ত অভিযোগ হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। |