শালতোড়ায় বুথে ঢুকে ব্যালট বক্স ভেঙে ভোট বানচালের ২৪ ঘণ্টা পরেও দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে পারল না পুলিশ। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শালতোড়ার বিডিও অরুময় ভট্টাচার্য বলেন, “ভোটকর্মীরা আমার কাছে বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। আমি সেই অভিযোগপত্র পুলিশের কাছে পাঠিয়েছি।” জেলা পুলিশের এক কর্তার দাবি, দুষ্কৃতীদের সন্ধানে তাঁরা তল্লাশি শুরু করেছেন।
বৃহস্পতিবার শালতোড়ার ঢেকিয়া অঞ্চলের গোঁসাইডি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে ওই হামলা হয়। জনা কুড়ি দুষ্কৃতী বুথে ঢুকে বাক্স ভেঙে ব্যালট পেপার ছিঁড়ে ফেলে। চেয়ারটেবিল ভাঙচুর করে ভোটকর্মীদের তারা মারধর করে। টাকাপয়সা কেড়ে নিয়ে ভোটকর্মীদের তালাবন্দি করে দুষ্কৃতীরা পালায়। জেলাশাসক বিজয় ভারতী জানান, ওই বুথে পুনরায় নির্বাচন করা হবে। এই ঘটনাকে ঘিরে সিপিএম ও তৃণমূল দুই রাজনৈতিক দলই একে অপরকে দায়ী করেছে। সিপিএমের জেলা সম্পাদক অমিয় পাত্রের অভিযোগ, “আমরা ওই বুথে বরাবরই জিতে এসেছি। এ বারও আমাদের জয় নিশ্চিত ছিল। তাই তৃণমূল পরিকল্পনামাফিক এই কাজ করল।” তৃণমূলের শালতোড়ার বিধায়ক স্বপন বাউরির পাল্টা দাবি, “এ বার হার নিশ্চিত বুঝে সিপিএম ওই কাণ্ড ঘটিয়েছে।”
এদিকে, পাত্রসায়র থানার কমলাসায়ের গ্রামে ভোটের দিন পুলিশের উপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় ধৃত তিন জনের ৭ দিনের জেলহাজত হয়। শুক্রবার তাদের বিষ্ণুপুর আদালতে তোলা হয়। ধৃত নারায়ণপুর গ্রামের সুভাষ রায়, কমলাসায়ের গ্রামের গুরুপদ রায় ও শালপাড়ার তপন জৌলি এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভোটারদের রাস্তায় আটকে দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোল বাধে। আহত হন পাত্রসায়র থানার এক এএসআই-সহ তিন পুলিশ কর্মী। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলেন, “পুলিশকর্মীদের মারধর ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় তিন জনকে ধরা হয়েছে। আরও যারা জড়িত ছিল তাদেরও ধরা হবে।” ভোটের দিন পাড়া থানার হরিহরপুরে পুলিশের উপরে হামলার ঘটনায় এ দিনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। রঘুনাথপুরের এসডিপিও কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মামলা রুজু করা হয়েছে।” |