পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের প্রার্থীরে মারধরের অভিযোগ উঠেছে আরএসপি-র বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে বাসন্তীর উত্তর মোকামবেড়িয়া পঞ্চায়েতের হাড়ভাঙি গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। যথারীতি অভিযোগ অস্বীকার করেছে আরএসপি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে হাড়ভাঙি গ্রাম একটি বাড়িতে খাওয়া-দাওয়ার অনুষ্ঠান চলছিল। সেই সময় ওই গ্রামের ১৭১ নম্বর বুথের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থী তৃণমূলের কালিপদ মাইতি নির্বাচনী প্রচারের সময় সেখানে ঢুকে কি হচ্ছে তা জানতে চান। এই নিয়ে দু’তরফে বচসা থেকে গণ্ডগোলের সূত্রপাত। যদিও তৃণমূলের তরফে থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বাসন্তীর তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মান্না শেখ বলেন, “ওই রাতে নির্বাচনী প্রচারের সময় কালিপদবাবু একটি বাড়িতে গেলে আরএসপি-র লোকজন মদ্যপ অবস্থায় তাঁকে গালিগালাজ করে। কালীপদবাবু ও তাঁর সঙ্গের লোকজন প্রতিবাদ করলে তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয়। মারের চোটে মাথা ফেটে যায় কালিপদর। জখম হন আরও তিনজন। কালিপদকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাকালে ভর্তি করানো হয়েছে।”
তৃণমূলের অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে আরএসপি। বাসন্তী পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সহ সভাপতি আরএসপি-র মিণ্টু ইসলাম বলেন, “ওই দিন নির্বাচনী প্রচারের সময় কালিপদরা লোকজন নিয়ে মদ্যপ অবস্থায় একটি বাড়িতে ঢুকে পড়ে গালিগালাজ শুরু করে। মহিলাদের হাত ধরেও টানাটানি শুরু করে। লোকজন প্রতিবাদ করে তাড়া করলে ওরা পালাতে গিয়েই পড়ে গিয়ে কারও মাথা ফেটেছে, কেউ জখম হয়েছে। এখন নিজেদের দোষ ঢাকতে মিথ্যা অভিযোগ করছে।”
অন্যদিকে, ওইদিনই সন্ধ্যায় গোসাবার বেলতলি বাজারে নির্বাচনী প্রচারের সময় তাঁদের উপরে তৃণমূলের হামলার অভিযোগ করেছে আরএসপি। আরএসপি-র অভিযোগ, তাদের জেলা পরিষদের প্রাথর্ীর্ উত্তম কুমার সাহা বেলতলি বাজারে প্রচারের সময় তৃণমূলের লোকজন উত্তমবাবুর ভাগ্নে জীবন গায়েনকে ধরে মারধর করে। ভাগ্নেকে মারধর করা হচ্ছে জানতে পেরে উত্তমবাবু ছুটে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয়। উত্তমবাবু বলেন, “বেলতলি বাজারে ওদের এলাকায় কেন প্রচারে গিয়েছি, এই কথা তুলে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা আমাদের হুমকি দেয় ও আমার ভােগ্নেকে মারধর করে। আমি বাধা দিতে গেলে আমাকেও মারে। আমাকে প্রচার করতে দেবে না বলেই ওরা এ সব শুরু করেছে। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।”
মারধরের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্করের দাবি, “ওরাই আমাদের লোকজনদের নামে গালিগালাজ করছিল। আমাদের কর্মীরা তার প্রতিবাদ করলে একজনকে মারধর করে। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।” পুলিশ জানিয়েছে, দু’পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। কেউ গ্রেফতার করা হয়নি। |
