সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়ের ‘চোখের আলোয় দেখেছিলেম’, ‘প্রাণ চায় চক্ষু না চায়’, ‘আকাশ ভরা’ অপূর্ব পরিবেশন। এর পর হৈমন্তী শুক্ল গাইলেন ‘ঠিকানা না রেখে’, ‘এখনও সারেঙ্গিটা বাজছে’, ‘আমার বলার কিছু ছিল না’। শ্রোতাদের মুগ্ধতার মধ্যেই শিবরঞ্জনী রাগে একটি ঠুংরিও শোনালেন তিনি, যা শ্রোতাদের মনে থাকবে বহু দিন। শেষ শিল্পী শ্যামল বন্দ্যোপাধ্যায়। মান্না দে-র গাওয়া ‘খুব জানতে ইচ্ছে করে’ গানটি দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করেন। শ্রোতাদের অনুরোধে ‘সেই তো আবার কাছে এলে’, ‘হাজার টাকার ঝাড়বাতিটা’, ‘বেহাগ যদি না হয় রাজি’ ইত্যাদি নানা গান প্রায় এক ঘণ্টা ধরে গাইলেন তিনি। শ্রোতারা উচ্ছ্বসিত। আয়োজক প্রেস ক্লাব।
|
সময়ের সঙ্গে পাল্টেছে সংস্কৃতি, গানের ধারাও। ‘পদক্ষেপ’ তুলে ধরল শহরের সেই সব পুরাতনী গান থেকে আধুনিক গানের সম্ভার সম্প্রতি বিড়লা অ্যাকাডেমিতে ‘স্মৃতি বিস্মৃতির শহর কলকাতা’ সঙ্গীত আলেখ্যটিতে।
তিলক গুপ্তের সাম্প্রতিক কালের কবীর সুমনের গান দিয়ে শুরু। ডালিয়া দাশগুপ্তের পুরাতনী গান ‘ননদিনী গো’ গানটি শ্রোতাদের ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল অতীতের কলকাতায়। ‘আজি শ্রাবণ সাঁঝে...’ সারা চট্টোপাধ্যায়ের রাগপ্রধান গানটি শুনে মুগ্ধ শ্রোতারা। দেবমাল্য চট্টোপাধ্যায়ের দরাজি গলায় রবীন্দ্রসঙ্গীত ‘কোথা যে উধাও হল’ অপূর্ব গায়কী। সঙ্গে বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী আর মধুমিতা বসুর ধারাভাষ্যে টুকরো টুকরো কথায় কলকাতার ইতিহাস তুলে ধরা। ছিল অতুলপ্রসাদ, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের গান থেকে শুরু করে আধুনিক গানও।
|
সম্প্রতি তপন থিয়েটারে ‘নাট্য গানে রবি কথা’য় গাইলেন শাশ্বতী সেনগুপ্ত। শিল্পীর নির্বাচিত গানগুলি শ্রোতাদের মুগ্ধ করে। অনেকগুলি গানের মধ্যে ‘দূরে কোথায় দূরে দূরে’, ‘তোমায় নতুন করে পাব বলে’, ‘তরি আমার হঠাৎ ডুবে যায়’ অপূর্ব মুন্সিয়ানায় নিজেকে উজাড় করে দিলেন। তবে এ দিনের শ্রেষ্ঠ নিবেদন ‘চোখের আলোয়’ এবং ‘তুমি কি’ গান দু’টি। পরে সুবোধ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশনায় অন্য স্বর নাট্য সংস্থার নাটকটি দর্শকদের মন জয় করে নেয়।
|
সম্প্রতি বাংলা অ্যাকাডেমিতে অনুষ্ঠিত হল খড়গপুর আবৃত্তি উত্তমের আবৃত্তি ও শ্রুতিনাটক। অর্ণব চক্রবর্তীর কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথের ‘অন্তর মম’, অপূর্ব দত্তের ‘মেঘ বলল’, বিমলচন্দ্র ঘোষের ‘ছবি’ কবিতা পাঠ অনুষ্ঠানটিকে অন্য মাত্রা এনে দেয়। অনুষ্ঠানে সংস্থার ছাত্রছাত্রীদের সমবেত আবৃত্তি শ্রোতাদের প্রশংসা পায়। এ ছাড়াও এসেছিলেন তিলক মুখোপাধ্যায়, মাধবী দত্ত, বিজয়লক্ষ্মী বর্মন, সৌমিত্র বন্দ্যোপাধ্যায়, মানসী বন্দ্যোপাধ্যায়, কাজল সুর প্রমুখ। সঞ্চালনায় ছিলেন সুপ্রকাশ মুখোপাধ্যায়।
|
উত্তম মঞ্চে ‘পান্থ’র ‘নিভৃত সন্ধ্যা’য় সমবেত রবীন্দ্রসঙ্গীত ‘ঘোর সন্ধ্যায় তুমি’ পরিবেশন করলেন কবিতা বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বপ্না পালিত প্রমুখ। পরে ‘অশ্রুনদীর’ গানটি রোশমি বন্দ্যোপাধ্যায় ও অরুন্ধতী বক্সির কণ্ঠে মন্দ লাগে না। সুগতা বলের ‘আজি এ আনন্দসন্ধ্যা’, স্বপ্না পালিতের ‘এবার রাঙিয়ে’ শুনতে ভাল লাগে। তবে পূর্ব অধিকারীর ‘আমার সকল’ গানটিতে দরদের অভাব ছিল। দ্বিতীয় পর্বে ছিল ‘চণ্ডালিকা’। পরিবেশনে কবিতা বন্দ্যোপাধ্যায়, উর্মিমালা সেনগুপ্ত।
|
আবির্ভাব আয়োজিত রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলকে নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠান মাতিয়ে দিলেন প্রবীণ শিল্পী সুধীন সরকার। রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন পর্যায়ের গানগুলি গেয়ে তিনি শ্রোতাদের মুগ্ধ করলেন। পরে আবৃত্তিতে নজর কাড়লেন তাপস নাগ। শোনালেন নজরুল ইসলামের ‘আমার কৈফিয়ত’।
|
রবীন্দ্রসদনে অনুষ্ঠিত হল গান, কবিতা ও থিয়েটারের কিছু বিশেষ মুহূর্ত নিয়ে কোলাজ ‘কুহকিনী কথা’। একক উপস্থাপনায় মিতুল দত্ত। একটি মেয়ের জীবনের কিছু বিশেষ মুহূর্ত নিয়ে কোলাজটি নির্মিত হয়েছে। জীবনের ঘাত-প্রতিঘাত, চড়াই-উতরাই, প্রেম-অপ্রেম, যৌনতা পেরিয়ে মেয়েটির জীবনে আসে এক পরিবর্তন। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে তখন সে নিজেকে খুঁজে পায়, উপলব্ধি করে জীবনের অর্থ। শিল্পীর সাবলীল উপস্থাপনা মনে দাগ কাটে। হিরণ মিত্রের মঞ্চ পরিকল্পনা ভাল লাগে। নির্দেশনায় দেবাশিস ঘোষ দস্তিদার। |