|
|
|
|
আটকে রাখার খেসারত |
পুলিশকর্তার চাকরির নথিতে নিন্দার আঁচড় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
পশ্চিম মেদিনীপুরের ঝাড়গ্রাম পুলিশ-জেলার মহকুমাপুলিশ অফিসারের সার্ভিস বুকে নিন্দাসূচক মন্তব্য লেখার জন্য রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে সুপারিশ করল রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। শুধু তা-ই নয়, সুপারিশ রূপায়ণ করে দু’মাসের মধ্যে কমিশনকে তা জানাতেও বলা হয়েছে।
সুমিত কুমার নামে ওই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে এক যুবককে অবৈধ ভাবে দু’দিন আটকে রাখা এবং বিষয়টি গোপন করার অভিযোগ ওঠে। ঘটনাটি ২০১১ সালের। ওই বছর ১৭ জুলাই ঝাড়গ্রাম থেকে ধীরেন মাহাতো নামে এক যুবককে মাওবাদী সন্দেহে আটক করে পুলিশ। দু’দিন পরেও ছেলের খোঁজ না-পেয়ে এবং এই ব্যাপারে পুলিশের কাছে কোনও সদুত্তর না-পেয়ে ধীরেনের মা ঝাড়গ্রামের মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ জানান। ওই দিনই পুলিশ ধীরেনকে ঝাড়গ্রাম মহকুমা আদালতে তোলে। আদালতে পুলিশ বলে, ওই যুবককে সে-দিনই গ্রেফতার করা হয়।
ধীরেনের মায়ের অভিযোগ ছিল, পুলিশ তাঁর ছেলেকে অবৈধ ভাবে দু’দিন আটক করে রাখে। বিষয়টি নিয়ে তিনি রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হন। অভিযোগ পাওয়ার পরে মানবাধিকার কমিশন সুমিত কুমারকে ডেকে পাঠায়। ওই পুলিশ অফিসার কমিশনে হাজির হলেও কোনও প্রশ্নের জবাব দিতে রাজি হননি বলে কমিশন সূত্রের খবর। তাঁর বক্তব্য ছিল, ওই ব্যাপারে তাঁর যা জানানোর, তা তিনি সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপারকেই জানিয়েছেন।
এই ঘটনায় সুমিত কুমারের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মুখ্যসচিবের কাছে চিঠি পাঠিয়ে সুমিত কুমারের সার্ভিস বুকে নিন্দাসূচক মন্তব্য লেখার সুপারিশ করেছে তারা। আর ওই ব্যবস্থা নেওয়ার পরে কমিশনকে লিখিত ভাবে তা জানিয়ে দিতেও বলা হয়েছে।
গোটা প্রক্রিয়াটি শেষ করতে হবে দু’মাসের মধ্যে। |
|
|
|
|
|