|
|
|
|
ভোট শেষ হতেই ফের শুরু সংঘর্ষ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটতেই ফের সংঘর্ষ শুরু হল পশ্চিম মেদিনীপুরে। শুক্রবার কেশপুর, নারায়ণগড়ের বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। ঘটনায় এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
শুক্রবার সকালে শুরুতে সংঘর্ষ হয় নারায়ণগড়ের পাকুড়সেনির তেঁতুলিয়া ভুমজান এলাকায়। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে গোলমালে জড়িয়ে পড়েন সিপিআই-সিপিএমের কর্মী-সমর্থকেরা। দু’পক্ষের মোট ৬ জন জখম হন। এঁদের মধ্যে প্রার্থীও রয়েছেন। সিপিআইয়ের অভিযোগ, সকালে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উপর আচমকাই চড়াও হয় তৃণমূলের লোকজন। মারধর শুরু করে। মুহুর্তে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী মায়া দোলুইকে মারধর করা হয়। দলের জেলা সম্পাদক সন্তোষ রাণা বলেন, “ভোট মিটতেই তৃণমূলের লোকেরা নতুন করে সন্ত্রাস শুরু করেছে।” অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের বক্তব্য, শুরুতে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উপর সিপিএম-সিপিআইয়ের লোকেরাই হামলা করে। তাতে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থী বর্ণালী সিংহ জখম হন।
পাকুড়সেনি ছাড়াও এ দিন রাধানগর, মান্না প্রভৃতি এলাকায় অশান্তি হয়েছে। সংঘর্ষে জড়িয়েছে শাসক-বিরোধী দুই পক্ষ। অন্যদিকে, কেশপুরেও অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ, শুক্রবার দুপুরে তৃণমূলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর লোকেরা বাইরে থেকে কিছু লোকজন নিয়ে গিয়ে ঝলকা এলাকায় হামলা চালায়। কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। হামলা হয় কালীপদ মাইতির বাড়িতে। বহিরাগতদের তাণ্ডবে বেশ কয়েকজন ছুটে পালান। রাত পর্যন্ত তাঁরা গ্রামছাড়া। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ঝলকায় গোলমালের একটা ঘটনা ঘটেছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। কেন এমন হামলা? তৃণমূলের কেশপুর ব্লক সভাপতি তপন চক্রবর্তী বলেন, “বিস্তারিত কিছু জানি না। খোঁজ নিচ্ছি।” ঘটনার পর থেকেই কেশপুর, নারায়ণগড়ের এই সব এলাকায় থমথমে পরিবেশ রয়েছে।
দাসপুর ২ ব্লকের সাহাচক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঘনশ্যামবাটি গ্রামের মির্জামারি পাড়ায় সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দাসপুর ২ জোনাল কমিটির সম্পাদক ললিতকুমার শী-র অভিযোগ, শুক্রবার দুপুরে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাদের সমর্থকদের উপর চড়াও হয়। সেই হামলা থেকে বাদ যাননি মহিলারাও। এর জেরে ঘরছাড়া হয়েছেন ওই পাড়ার পনোরো-ষোলোটি পরিবারের প্রায় তিরিশ-পঁয়ত্রিশ জন সদস্য। অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের ওই ব্লক সভাপতি তপন দত্ত। |
|
|
|
|
|