|
|
|
|
|
|
উত্তর কলকাতা: লেকটাউন, বারাসত |
উত্তর দমদম |
যন্ত্রণার যাতায়াত
সত্যজিৎ চক্রবর্তী |
কোথাও ভেঙেচুরে রয়েছে, আবার কোথাও বৃষ্টির জলে ডুবে রয়েছে রাস্তাঘাট। ফলে যাতায়াত করতে গিয়ে নিত্য দিন দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে উত্তর দমদম পুরসভা এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলের বাসিন্দাদের।
যশোহর রোড থেকে মুজফ্ফর আহমেদ সরণি বাঁকড়া, বিশরপাড়া এলাকার ভিতর দিয়ে সাহাপাড়া, তেঁতুলতলা হয়ে কল্যাণী রোডে মিশেছে। এই রাস্তা দিয়ে বিরাটি-তেঁতুলতলা এবং বিরাটি-বাঁকড়া রুটের অটো যাতায়াত করে। এই রাস্তারই এক দিকের অংশ কেটে জলপ্রকল্পের পাইপ বসানোয় পাথর, ইটের টুকরো আর কাদা মিলেমিশে রাস্তাটি এবড়োখেবড়ো হয়ে উঠেছে। |
|
ওই রাস্তার অন্য দিকেও রয়েছে ছোট-বড় গর্ত। পাঁচ কিলোমিটার রাস্তাটির কোনও কোনও জায়গায় পিচ ভেঙে ইট বেরিয়ে রয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই রাস্তা দিয়ে যে কোনও যানবাহনে যাতায়াত করার সময় আতঙ্ক হয়।
প্রায় একই দশা উত্তর দমদম পুরসভার অন্যান্য ওয়ার্ডের ভিতরের রাস্তাগুলোরও। বিশেষত পুরসভার ১ থেকে ৫ এবং ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন পাড়ার রাস্তাগুলির অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ। অভিযোগ, এই সব ওয়ার্ডের নিচু অঞ্চলগুলির নিকাশি ব্যবস্থাও বেহাল। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই অগভীর নর্দমাগুলি উপচে জল রাস্তায় জমে যায়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘ ক্ষণ জল জমে থাকায় ভিজে ভিজেই যাতায়াত করতে হয়। একটানা বৃষ্টি হলে জলে ডোবা রাস্তায় মোটরসাইকেল, অটোর ইঞ্জিনে জল ঢুকে যায়। বিরাটি, বিশরপাড়া, প্রতাপগড়, গোলবাগান এবং আলিপুর এলাকার বাসিন্দাদের ক্ষোভ, বহু বার অভিযোগ জানিয়েও যাতায়াতের এই যন্ত্রণা থেকে সুরাহা মেলেনি। |
|
স্থানীয় বাসিন্দা স্বরূপ শীলের কথায়: “প্রতি দিনই রাস্তার
কাদা-জলে জামাকাপড় নোংরা হয়ে যায়। বয়স্ক ও স্কুলপড়ুয়ারা ওই রাস্তা পেরোতে গিয়ে মুশকিলে পড়েন। পুরসভাকে বহু বার বলা সত্ত্বেও রাস্তা আর নর্দমা সংস্কার করেনি।” উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান সিপিএমের সুনীল চক্রবর্তী বলেন, “জলপ্রকল্পের জন্য রাস্তা খুঁড়ে পাইপ বসানোয় মুজফ্ফর আহমেদ সরণি ভেঙে গিয়েছে। পুরসভার আয় কম, তুলনায় ওয়ার্ডের সংখ্যা বেশি। তাই পুর এলাকায় উন্নয়ন হচ্ছে ধীর গতিতে। যদিও ইতিমধ্যেই কয়েকটি নর্দমা আমরা তৈরি করেছি, বর্ষার মরসুম শেষ হলেই রাস্তা সংস্কার এবং বাকি নিকাশি নর্দমা তৈরি করব।” |
ছবি: সুদীপ ঘোষ |
|
|
|
|
|