|
|
|
|
|
|
দক্ষিণ কলকাতা |
দরিদ্র-আবাসন |
হবে ঠাঁই কৌশিক ঘোষ |
দু’বছর আগেই চেতলার রাখালদাস আঢ্য রোডে জওহরলাল নেহরু ন্যাশনাল আর্বান রিনিউয়াল মিশনে (জেএনএনইউআরএম) দরিদ্র নাগরিকদের জন্য গৃহনির্মাণ প্রকল্প করেছিলেন কলকাতা পুরকর্তৃপক্ষ। কিন্তু এই প্রকল্প বাস্তবায়িত না হলে প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রীয় খাতে বরাদ্দ অর্থ আগামী আর্থিক বছরে ফেরত চলে যাবে। তাই তড়িঘড়ি এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করার সিদ্ধান্ত নিল পুরসভা। আগামী বছরের প্রথমেই এই প্রকল্প শেষ হবে বলে পুরকর্তৃপক্ষের দাবি।
পুরসভার মেয়র পারিষদ (বস্তি) স্বপন সমাদ্দার বলেন, “শহরে দরিদ্র মানুষদের থাকার জন্য পুরসভা অনেক জায়গায় জেএনএনইউআরএম প্রকল্পের অর্থেই বেসিক সার্ভিসেস ফর আর্বান পুওরস (বিএসইউপি) পরিকল্পনায় আবসান তৈরি করেছে। শহরের অনেক জায়গায় সম্ভব হলেও চেতলায় এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করা সম্ভব হচ্ছিল না। এখন এই সমস্যা মিটেছে। এই আবাসন না হলে এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ অর্থ ফেরত চলে যেত।” মেয়র পারিষদ জানান, পরবর্তী কালে, জেএনএনইউআরএম-এর প্রকল্পের অন্তর্গত বিএসইউপি প্রকল্পে এই অর্থ পাওয়া সম্ভব হবে না। তার পরিবর্তে রাজীব আবাস যোজনায় কেন্দ্রীয় সরকার এই অর্থ বরাদ্দ করবে।
|
|
জেএনএনইউআরএম প্রকল্পে দরিদ্র মানুষের আবাসন তৈরির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার প্রকল্পের মোট ৫০ শতাংশ, রাজ্য সরকার ৩০ শতাংশ এবং বাকি ২০ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ করবেন কলকাতা পুরকর্তৃপক্ষ। এই প্রকল্পে যাঁরা ফ্ল্যাট নিচ্ছেন তাঁদের পরিবার পিছু ৩০ হাজার টাকা দিতে হবে পুরসভাকে। এই প্রকল্পের মোট খরচ ১ কোটি ৭১ লক্ষ টাকা। এখানে যে ফ্ল্যাট তৈরি করা হবে তার আয়তন ২৭০ বর্গফুট। এই প্রকল্পে মোট ফ্ল্যাটের সংখ্যা ১৬। পরে এখানে আরও কয়েকটি ফ্ল্যাট হবে বলেও দাবি
পুর কর্তৃপক্ষের।
পুরসভা সূত্রে খবর, ২০১১-য় চেতলার রাখালদাস আঢ্য রোডের একটি বস্তির একাংশে একটি ফাঁকা মাঠে আবাসন প্রকল্পের পরিকল্পনা হয়। আবাসনের জন্য এই এলাকার মাটিও পরীক্ষা করা হয়। ২০১২-য় ঘটা করে পুরসভা এই প্রকল্পের শিল্যন্যাস করে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও কাজ এগোয়নি।
বস্তিবাসীদের বক্তব্য, বস্তির উন্নয়নের জন্য এখানে আবাসন প্রকল্পের পরিকল্পনা করেছিলেন পুরকর্তৃপক্ষ। এই প্রকল্পের ব্যাপারে তাঁরাও আগ্রহী। কিন্তু কী ভাবে এই আবাসনের ফ্ল্যাট বিতরণ করা হবে সেই ব্যাপারে তাঁরা এখনও অন্ধকারেই আছেন। শিলান্যাস হওয়ার পরেও এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়নি। তাঁরা জানান, আপাতত এই প্রকল্পে মাত্র ১৬টি ফ্ল্যাট তৈরির কথা রয়েছে। কিন্তু এখানে পাঁচশোরও বেশি পরিবার রয়েছে। তাদের কোনও আবাসন দেওয়া হবে কি না সেই ব্যাপারে কোনও আশ্বাস পুরসভা থেকে এখনও পাওয়া যায়নি। |
|
পুরসভার এক আধিকারিক জানান, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য যে ঠিকাদারি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সেই সংস্থা সমস্যায় পড়েছিল। যেখানে এই আবাসন হবে তার আশপাশের কয়েকটি বাড়ি ভেঙে ফেলার কথা হয়েছিল। সেই নিয়েও সমস্যা হয়েছিল। এমনকী, প্রথমে জায়গা নির্বাচন করার ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দেয়। সময়মতো এই প্রকল্প না হওয়ায় পুরনো ঠিকাদার সংস্থাকে বাতিল করে নতুন করে পুরসভা দরপত্র করে নতুন ঠিকাদার সংস্থা নিয়োগ করেছে। খুব দ্রুতই কাজ শুরু হবে। মেয়র পারিষদ (বস্তি) বলেন, “এখানে শুধু একটি নয়, অনেকগুলি আবাসন করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রথম আবাসনটি তৈরির পরে যে অংশটি খালি হবে সেখানেই ফের নতুন আবাসন তৈরি করা হবে। তবে তা সময়সাপেক্ষ।” |
ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য |
|
|
|
|
|