উত্তর কলকাতা: পাইকপাড়া, ব্যারাকপুর
মড়ার উপর...
কে আবর্জনা, পলি জমে খালের নিকাশি বেহাল। তার উপরে আবার খালের পাড় দখল করে গজিয়ে উঠেছে বসতি। শুধু তাই নয়, খালের পাড়ের কিছুটা নিচু অংশ ভরাট করে সেখানেও নাকি তৈরি হবে বসতি!
এই দুর্দশার চিত্র কামারহাটি পুর-এলাকার দাতিয়া খালের। পুর-এলাকার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের মিত্র বাগানে এই জমি ভরাটের কাজ চলছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিভিন্ন মহল থেকে মিত্র বাগানের ওই সরকারি জমি ভরাট করা হচ্ছে। ওই জমিতে একটি ক্লাবের নামাঙ্কিত বোর্ডও লাগানো রয়েছে। পাড় দখল করে নিচু জমি ভরাট করার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর দেবযানী চক্রবর্তীও। তাঁর কথায়: “ওই ভরাট করা জায়গায় ৬টি দুঃস্থ পরিবারকে বসানোর চিন্তাভাবনা করা হয়েছে। তবে আমি একা কিছু করিনি। ওয়ার্ড কমিটির কর্মীদের নিয়েই এই কাজ করা হচ্ছে। স্থানীয় একটি ক্লাবও স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে এগিয়ে এসেছে। দলও বিষয়টি জানে।”
স্থানীয় কাউন্সিলর খাল ভরাট করার কথা কার্যত স্বীকার করে নিলেও এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের পরিবহণ ও ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্রের দাবি, “কোনও ভরাটই হচ্ছে না। কাউন্সিলর কিছু জানেন না। তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে বিরোধীরা এ সব বলছেন।”
কামারহাটি পুর-এলাকার জল নিকাশির মূল মাধ্যম দাতিয়া খাল। প্রায় ১৫০০ মিটার দৈর্ঘ্যের খালটির বিভিন্ন জায়গাতেই পাড় দখল করে বসতি তৈরি হয়েছে। স্থানীয় মানুষের বক্তব্য, এর ফলে নিকাশির কাজে সমস্যা তৈরি হয়। বড় কোনও মেশিন নামিয়ে খাল সংস্কার করতে গেলে বেগ পেতে হয়।
এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, খালের পাড়ে কয়েকশো মিটার নিচু জমিতে রাবিশ ফেলে ভরাট করা হয়েছে। যদিও সেই জমির মালিক পুরসভা। জানা গেল, ওই জমিতেই ৬টি ঝুপড়ি তৈরি করা হবে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, খালপাড়ে ঝুপড়ি বসলে খালের পলি আর আবর্জনা তুলে রাখার জায়গা থাকবে না। এ ছাড়া ঝুপড়িবাসীদের শৌচাগারগুলি খালের মধ্যে তৈরি হলে আরও আবর্জনা জমবে এবং দূষণ ছড়াবে।
সংশ্লিষ্ট ক্লাবটির কার্যকরী কমিটির সদস্য তথা ওয়ার্ড কমিটির সচিব সুবীর সরকার বলেন, “জমি ভরাটের সঙ্গে ক্লাব যুক্ত নয়। যাঁরা বাস করবেন তাঁরাই খালের পাড় ভরাট করেছেন। গরিব মানুষ বলে আমরা কোনও বাধা দিইনি। তবে ওই ৬টি পরিবার ছাড়া আর কেউ যাতে বসতি স্থাপন করতে না পারে সে দিকেও নজর রাখা হচ্ছে।” কিন্তু পুরসভার জমি পুর-কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ভরাট হচ্ছে কী করে? সুবীরবাবু বলেন, “পুরসভা যদি ওই জমিতে নিজেদের বোর্ড লাগিয়ে দেয় কিংবা কোনও কাজ শুরু করে তা হলে আমরা অবশ্যই জমি খালি করে দেব।”
দাতিয়া খালের নিকাশি সমস্যা নিয়ে মহাকরণ থেকে জলসম্পদ ভবন, সর্বত্র উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হলেও খালের ধারে বসতি স্থাপন এবং খালে বেআইনি ভাবে রাবিশ ফেলে ভরাট করে দখলের বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়নি বলেই প্রশাসন সূত্রের খবর। তবে কামারহাটির পুরপ্রধান তমাল দে বলেন, “ওই জমি পুরসভার। জমি ভরাটের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। পুর-প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ভরাটের ফলে নিকাশির সমস্যা হলে ওই কমিটিই পুরসভায় জানাবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” জমিতে রাবিশ ফেলে ভরাট করা হয়েছে। যদিও সেই জমির মালিক পুরসভা।
জানা গেল, ওই জমিতেই ৬টি ঝুপড়ি তৈরি করা হবে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, খালপাড়ে ঝুপড়ি বসলে খালের পলি আর আবর্জনা তুলে রাখার জায়গা থাকবে না। এ ছাড়া ঝুপড়িবাসীদের শৌচাগারগুলি খালের মধ্যে তৈরি হলে আরও আবর্জনা জমবে এবং দূষণ ছড়াবে।
সংশ্লিষ্ট ক্লাবটির কার্যকরী কমিটির সদস্য তথা ওয়ার্ড কমিটির সচিব সুবীর সরকার বলেন, “জমি ভরাটের সঙ্গে ক্লাব যুক্ত নয়। যাঁরা বাস করবেন তাঁরাই খালের পাড় ভরাট করেছেন। গরিব মানুষ বলে আমরা কোনও বাধা দিইনি। তবে ওই ৬টি পরিবার ছাড়া আর কেউ যাতে বসতি স্থাপন করতে না পারে সে দিকেও নজর রাখা হচ্ছে।” কিন্তু পুরসভার জমি পুর-কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ভরাট হচ্ছে কী করে? সুবীরবাবু বলেন, “পুরসভা যদি ওই জমিতে নিজেদের বোর্ড লাগিয়ে দেয় কিংবা কোনও কাজ শুরু করে তা হলে আমরা অবশ্যই জমি খালি করে দেব।”
দাতিয়া খালের নিকাশি সমস্যা নিয়ে মহাকরণ থেকে জলসম্পদ ভবন, সর্বত্র উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হলেও খালের ধারে বসতি স্থাপন এবং খালে বেআইনি ভাবে রাবিশ ফেলে ভরাট করে দখলের বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়নি বলেই প্রশাসন সূত্রের খবর। তবে কামারহাটির পুরপ্রধান তমাল দে বলেন, “ওই জমি পুরসভার। জমি ভরাটের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। পুর-প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ভরাটের ফলে নিকাশির সমস্যা হলে ওই কমিটিই পুরসভায় জানাবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.