|
|
|
|
|
|
পূর্ব কলকাতা |
বিধাননগর |
উধাও ফুটপাথ
কাজল গুপ্ত |
ক্রমেই বেদখল হয়ে যাচ্ছে সল্টলেকের ফুটপাথ। অভিযোগ, সব জেনেও নির্বিকার প্রশাসন। যদিও বিধাননগর পুরকর্তৃপক্ষ জানান, অফিসপাড়া-সহ কয়েকটি এলাকায় ফুটপাথ দখলের সমস্যা রয়েছে। সমস্যা মেটাতে পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
সল্টলেকের অফিসপাড়া, শপিং মল, রেস্তোরাঁ সংলগ্ন এলাকায়ই ফুটপাথ দখলের সমস্যা সবচেয়ে বেশি। যেমন, ডিসি-ডিডি ব্লকের অনেকটা জুড়ে রয়েছে সিটি সেন্টার। এর এক দিকে ইসি ব্লক। অন্য দিকে, ডিবি ব্লক। এই দুই ব্লকের ফুটপাথ জুড়ে একাধিক দোকান তৈরি হয়েছে। অনেক গাড়িও পার্ক করা থাকে। পথচারীদের যাতায়াতের জায়গা থাকে না।
সিটি সেন্টার থেকে সল্টলেক পুরসভামুখী রাস্তার ফুটপাথ জঙ্গলে ভরা। কয়েকটি জায়গায় আবার সরকারি প্রকল্পের নির্মাণসামগ্রী রাখা আছে। পথচারীদের রাস্তা দিয়েই চলাচল করতে হয়। |
|
এই রাস্তা দিয়েই প্রতি দিন যাতায়াত করেন বাসিন্দা সুমিতা মুখোপাধ্যায়। তাঁর কথায়: “বাধ্য হয়ে রাস্তা দিয়েই যেতে হয়। দীর্ঘ দিন একই অবস্থা।” সিটি সেন্টার থেকে ময়ূখ ভবনমুখী রাস্তার এক দিকে মেট্রো প্রকল্পের কাজ চলছে। অন্য দিকের ফুটপাথে কোথাও সরকারি অফিসের বাগান, কোথাও ইমারতি দ্রব্যের স্তূপ। অনেকে এই অফিসপাড়ায় আসেন।
তাঁদের এক জন কাঁকুড়গাছির বাসিন্দা প্রবাল কর। তিনি বলেন, “দীর্ঘ দিন ধরে দেখছি এখানে ফুটপাথ বলে কিছু নেই। রাস্তা দিয়েই যেতে হয়।” সেচভবন থেকে করুণাময়ী মোড় পর্যন্ত রাস্তার দু’দিকও বেদখল হয়ে গিয়েছে। কোথাও দোকান তৈরি হয়েছে। কোথাও গাড়ি পার্ক করা থাকে। কোথাও আবার সরকারি প্রকল্পের জেরে ফুটপাথের বেহাল অবস্থা। |
|
অফিসপাড়া ছাড়াও কয়েকটি ব্লকে আবার বাড়ি ভাড়া করে ব্যাঙ্ক, আইটি সংস্থার অফিস, নানা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি হয়েছে। এই কেন্দ্রগুলির আশপাশেও ফুটপাথ জুড়ে দোকান গজিয়ে উঠছে। ফুটপাথ দখল করে গাড়ি পার্ক করা থাকছে। কয়েকটি জায়গায় ফুটপাথ দখল করে নির্মাণও হয়েছে বলে অভিযোগ। যেমন, দশ নম্বর ট্যাঙ্কের কাছে রাস্তায় একটি নির্মাণ হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা রমেন সেনশর্মার মন্তব্য: “ফুটপাথে রাতারাতি নির্মাণ হয়ে গেল। স্থানীয় প্রশাসকেরা দেখেও দেখছেন না।”
বাসিন্দাদের একটি সংগঠন সল্টলেক (বিধাননগর) ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কুমারশঙ্কর সাধু বলেন, “সল্টলেক যতই বাণিজ্যনগরী হয়ে উঠছে, ততই এ ধরনের সমস্যা বাড়ছে। পথচারী এবং বাসিন্দাদের সমস্যা নিয়ে কেউ ভাবছেন না। পার্কিং এবং হকারদের সমস্যা নিয়ে কোনও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে না।”
বিধাননগর পুরপ্রশাসন ফুড স্ট্রিট তৈরি করা, নির্দিষ্ট সময়ে বিশেষ রকমের গাড়িতে দোকান দেওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিল। পুরকর্তৃপক্ষ জানান, সল্টলেকে পার্কিংয়ের নির্দিষ্ট জায়গা থাকলেও গাড়ির সংখ্যা অনেক বেড়ে যাওয়ায় নানা জায়গায় পার্কিং হচ্ছে। সমস্যা সমাধানের জন্য পরিকল্পনা করা হচ্ছে। চেয়ারপার্সন পারিষদ অনুপম দত্ত বলেন, “ফুটপাথে দোকান দিয়ে অনেকে রোজগার করেন। কিন্তু তা বলে ফুটপাথ দখল করতে দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে পরিকল্পনা করা হয়েছে। পাশাপাশি ফুটপাথে কিছু নির্মাণ হয়েছে। এই বিষয়েও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে যে অংশে মেট্রো প্রকল্পের কাজ হচ্ছে, সেখানে ফুটপাথ ওঁরাই মেরামত করে দেবেন।” |
|
|
|
|
|