অ্যাসেজের প্রথম টেস্টের রাশ ইংল্যান্ড হাতে তুলে নিচ্ছে। তার মধ্যেই অস্ট্রেলীয় বিস্ময়বালক নিজের অস্তিত্ব বুঝিয়ে চলেছেন!
কুকের ৫০, পিটারসেনের ৬৪ এবং ইয়ান বেলের অপরাজিত ৯৫ রানের সুবাদে তৃতীয় দিনের শেষে ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে ৩২৬-৬। হাতে ৪ উইকেট নিয়ে এখনই ২৬১ রানে এগিয়ে। ঐতিহাসিক ভাবে ট্রেন্টব্রিজ উইকেটের শেষ দু’দিন গড়বড় হয়ে ওঠাকে মাথায় রাখলে ফর্মহীন অস্ট্রেলীয় টপ অর্ডার ব্যাটিং লাইন আপের দুশ্চিন্তা বেড়ে ওঠারই কথা। তবে ক্রিকেট-পণ্ডিতরা এও ভাবছেন, এই টেস্টেই প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার দশম উইকেট জুটিও যে ভাবে দেড়শোর বেশি রান তুলেছে, তার পরে ঠিক কত রান টার্গেট হওয়া উচিত ইংল্যান্ডের? |
এবং এই ভাবনার পিছনে যে নামটা উঠে আসছে সেটা অ্যাশটন আগার! টিনএজার অস্ট্রেলীয় রাতারাতি অখ্যাত ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ান বাঁ-হাতি স্পিনার থেকে ব্যাগি গ্রিনের বোলার-অলরাউন্ডারে পরিণত হয়ে উঠেছেন। গতকালই এগারো নম্বরে নেমে অভিষেকে সর্বোচ্চ রান করার বিশ্বরেকর্ড করার পর আজও আগারের স্বপ্নের যাত্রা অব্যাহত থাকল। যখন শ্রীলঙ্কান বংশোদ্ভুত স্পিনারের পাতা জালে স্লিপে ক্যাচ তুলে আউট হয়ে ইংল্যান্ড অধিনায়ক কুক দিয়ে গেলেন আগারকে জীবনের প্রথম টেস্ট উইকেট। লাঞ্চের পরের দু’ঘন্টায় আরও দু’উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। সেখানেও এক উইকেট আগারের। বেয়ারস্টো ফ্লাইটে ঠকে গিয়ে কট বিহাইন্ড। প্রথম ইনিংসে উইকেট না পেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে আগার বল হাতেও টেস্ট অভিষেকেই অভিজ্ঞতা এবং পরিণতিবোধ দেখিয়েছেন। এই ইনিংসে তাঁর বোলিং হিসেব ৩৫-৯-৮২-২। তবে চা-বিরতির পর বেল-ব্রড (৪৭ ন.আ.) জুড়ি সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ গড়ে পাল্টা জবাবও দিয়েছে। মরিয়া ক্লার্ক সব ক’টা ডিআরএস চ্যালেঞ্জ করে ব্যর্থ হয়ে এখন কেবল মাঠের আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তের উপরই নির্ভরশীল। ইতিমধ্যেই ব্রডের নিশ্চিত খোঁচায় ডিআরএসের শরনাপন্ন হতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। |