টেবল টেনিস
অবশেষে দ্বিমুকুট
বার ঝুলি ভরল উত্তর ২৪ পরগনার। দ্বিমুকুট জিতে নজর কাড়ল হাওড়ার প্রিয়দর্শিনী দাসও। ত্রিমুকুট জিতল ব্যারাকপুরের রণিত ভঞ্জ। প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল অন্নপূর্ণা ব্যায়াম সমিতি।
ব্যারাকপুর রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশন স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র রণিত। সাব জুনিয়র, জুনিয়র বিভাগ এবং ইয়ুথ বয়েজে চ্যাম্পিয়ন হয় রণিত। নৈহাটি ঋষি বঙ্কিম টেবল টেনিস অ্যাকাডেমির এই ছাত্রের লক্ষ্য জাতীয় স্তরে সফল হওয়া। ত্রিমুকুটের আশা ছিল প্রিয়দর্শিনীরও। কিন্তু মহিলা বিভাগের ফাইনালে দক্ষিণ কলকাতার রূপসা ভট্টাচার্যের কাছে হেরে যায় প্রিয়দর্শিনী।
ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
হাওড়ার বিজলি বালক সঙ্ঘ ছাড়াও বালিগঞ্জ কালচারালেও টেবল টেনিস শেখে প্রিয়দর্শিনী। পড়ে বেথুন কলেজিয়েট স্কুলে। জুনিয়র গার্লসের ফাইনালে উত্তর ২৪ পরগনার মৌমিতা দত্তকে হারানোর পরে উত্তর ২৪ পরগনারই প্রিয়াঙ্কা সাহাকে হারিয়ে জিতে নেয় ইয়ুথ গার্লসের খেতাব। গত বছর আমেরিকা, এলসালভাদোর, গুয়েতামালায় বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় খেলে এসেছে প্রিয়দর্শিনী। সে বলল, “পর পর তিনটি ফাইনাল খেলেছি। শেষ দিকে একটু হাঁপিয়ে উঠেছিলাম। ভবিষ্যতে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হতে চাই।”
মহিলা বিভাগের চ্যাম্পিয়ন হয় দক্ষিণ কলকাতার সন্তোষপুরের রূপসা ভট্টাচার্য। পুরুষ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন পূর্ব কলকাতার ছেলে শৌভিক কর। তিনি হারিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার স্নেহময় মান্নাকে। উত্তর ২৪ পরগনার তুলিকা রায়, কোয়েল ভট্টাচার্য, শ্রেষ্ঠ সরকাররা নিজেদের বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়। অন্নপূর্ণা ব্যায়াম সমিতির সম্পাদক প্রদীপচন্দ্র নন্দী বললেন, “১৯ বছর ধরে চলছে এই প্রতিযোগিতা। এ বারই সর্বাধিক ৭১৫ জন প্রতিযোগী অংশ নেন।” ক্লাব সভাপতি সৌমেন (ভাই) বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, “বহু বছর ধরেই ভলিবলের পাশাপাশি এখানে টেবল টেনিসের প্রশিক্ষণ চলছে।” ফাইনালে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের কৃষি বিপণনমন্ত্রী অরূপ রায়, স্থানীয় কাউন্সিলর গোপাল পাত্র প্রমুখ।




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.