|
|
|
|
|
|
খেলা |
স্মৃতির ফুটবল |
চন্দন রুদ্র |
স্মৃতিই বাঁচিয়ে রেখেছে ‘বন্ধুতা’কে।
সম্প্রতি ‘বন্ধুতা’র উদ্যোগে বিবেকানন্দ ইনস্টিটিউটের মাঠে আয়োজিত হল অমিত বসু স্মৃতি আমন্ত্রণমূলক ফুটবল প্রতিযোগিতা। ফাইনালে হাওড়া জেলা স্কুলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল সাঁতরাগাছি কেদারনাথ ইনস্টিটিউশন।
আটটি দল এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। কেদারনাথ ইনস্টিটিউশন সেমিফাইনালে হারায় জগাছা হাইস্কুলকে। অন্য দিকে, শিবপুর শ্রীমৎ স্বামী প্রজ্ঞানন্দ হাইস্কুলকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে হাওড়া জেলা স্কুল। ফাইনাল ম্যাচটি আক্রমণ ও প্রতি-আক্রমণে জমে ওঠে। প্রথমার্ধে শতপ্রিয় সাউয়ের গোলে এগিয়ে যায় কেদারনাথ স্কুল। অনেক চেষ্টা করেও গোল শোধ করতে পারেনি জেলা স্কুল। ট্রফি নিয়ে অধিনায়ক সোমনাথ গোস্বামীর সঙ্গে উল্লাসে মেতে ওঠে সায়ন দাস, শৌনক গোস্বামী, সোম হালদাররা। ফাইনালে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয় চ্যাম্পিয়ন দলের সায়ন ধাড়া। শতপ্রিয় পায় ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্টের পুরস্কার।
|
|
ইছাপুরের দক্ষিণ পাড়ার এই ছেলেটি পড়ে নবম শ্রেণিতে। অনুশীলন করে ডুমুরজলার হাওড়া ফুটবল কোচিং সেন্টারে। চ্যাম্পিয়ন স্কুলের দুই ক্রীড়া প্রশিক্ষক তরুণ সান্যাল ও হিরণ্ময় সরকার জানালেন, কেদারনাথ স্কুলের নিজস্ব মাঠ রয়েছে। তবে পড়াশোনার চাপে নিয়মিত অনুশীলন হয় না।
প্রিয় বন্ধুর স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখা এবং স্কুল স্তরে ফুটবলের প্রসার ঘটানোর লক্ষ্যে তিন বছর আগে এই ফুটবল প্রতিযোগিতা শুরু করেছিলেন ইন্দ্রনীল বসু, কৌশিক মান্না, গৌতম বাড়ুই, অভিজিৎ ভট্টাচার্যরা। ‘বন্ধুতা’র পক্ষে কৃষ্ণেন্দু ভট্টাচার্য বললেন, “১৯৮৪-তে যারা মাধ্যমিক পাশ করেছিলাম তাদের সংগঠন ‘বন্ধুতা’। অমিত আমাদের সহপাঠী ছিল। ফুটবলের পাশাপাশি হাওড়া রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ আশ্রমের আবাসিক ছাত্রদের বই দিয়ে সাহায্য করি। ভবিষ্যতে দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণের পরিকল্পনা আছে।”
প্রতিযোগিতার সূচনা করেন কৃষি বিপণনমন্ত্রী অরূপ রায়। ফাইনালে বিবেকানন্দ ইনস্টিটিউশনের সম্পাদক এবং স্থানীয় বিধায়ক ব্রজমোহন মজুমদার, প্রধান শিক্ষক শোভনকুমার বেরা, স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র ফুটবল খেলোয়াড় অশোক চট্টোপাধ্যায়, গৌতম সরকার, দেবজিৎ ঘোষ, রঘু নন্দী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। |
|
|
|
|
|