অস্ত্র উদ্ধারের দাবি তৃণমূলের, ধৃত ২
স্ত্র উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারধর করা হল সিপিএমের এক প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানকে। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে গোঘাটের দামোদরপুরে। এক অচেনা ব্যাক্তির সাইকেলের পিছনে বাঁধা বস্তা থেকে উদ্ধার হয় মিনি কামান, গোলা। ওই ঘটনার সঙ্গে যোগসাজসের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট বালি পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সিপিএম প্রধান বিশ্বনাথ পাঁজাকে মারধোর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় তৃণমূলের লোকজন। তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সাইকেল আরোহী রাজকুমার দলুইকেও ধরেছে পুলিশ। তাঁর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল থানার খালিশাকুণ্ডু গ্রামে। বিশ্বনাথবাবু দামোদরপুরের বাসিন্দা। তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গোঘাটের তৃণমূল নেতা মনোরঞ্জন পালের অভিযোগ, “সিপিএম পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাস করতেই আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করছিল। আমাদের প্রচার মিছিলে হামলা করতে চেয়েছিল।” অন্য দিকে, সিপিএমের গোঘাট জোনাল কমিটির সম্পাদক অরুণ পাত্র বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের প্রতীক পাওয়া আর না পাওয়াদের ঝামেলার দায় চক্রান্ত করে আমাদের ঘাড়ে চাপানো হচ্ছে। ওদের দলের প্রতীক না পেয়ে যারা নির্দল হিসাবে দাঁড়িয়েছে, তাদের নিশ্চিত জেতা রুখতেই প্রতীক পাওয়া তৃণমূলের লোকজন ওই সব আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করছে। আর ধরা পড়লেই আমাদের নেতা-কর্মীদের জড়াচ্ছে।”
উদ্ধার হওয়া অস্ত্র। নিজস্ব চিত্র।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ৮টা থেকে বালি অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামে তৃণমূল নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছিল। দামোদরপুরে প্রচার মিছিল পৌঁছয় বেলা ১০টা নাগাদ। তৃণমূলের দাবি, মিছিলের মধ্যে দিয়ে অচেনা এক সাইকেল আরোহী পিছনে বাঁধা বিরাট বস্তা নিয়ে সকলকে ঠোক্কর মারতে মারতে দ্রুত গতিতে মিছিল টপকে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। তার পথ আটকে বস্তার ভিতরে কী আছে জানতে চাওয়া হয়। সে প্রথমে জানায়, পুরনো লোহা-লক্কর কেনে। বস্তা খুলতে বললে সাইকেল ফেলে পাশেই পাট খেতের ভিতর দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তাকে ধরে ফেলে বস্তা খুলতেই একটি মিনি কামান ও দু’টি গোলা পাওয়া যায়। তৃণমূলের দাবি, সাইকেল আরোহীকে জিজ্ঞাসাবাদ করায় সে প্রাক্তন প্রধান সহ সিপিএমের কয়েক জন নেতার নাম বলে। জানায়, গত এক মাস ধরে বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র আনার বরাত দিয়েছিলেন তাঁরা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ থেকে অবশ্য জানা গিয়েছে, রাজকুমারবাবু পুরনো লোহা-লক্কর কিনতে গ্রামে গ্রামে ঘোরেন। তাঁর বস্তা থেকে পাইপের টুকরো বের হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া বস্তুটির সঙ্গে সেটির মিল নেই। গোলা বারুদ কোথা থেকে এল তা নিয়েও তাঁরা হতবাক। আর যে ভাবে ওই ঘটনার পরে প্রাক্তন প্রধানকে তাড়া করে ধরে মারধোর করা হল, তা-ও বুঝে উঠতে পারছেন না ওই প্রত্যক্ষদর্শীরা।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.