|
|
|
|
কোণঠাসা তরুণ-কিশোররা |
মোবাইলে অশ্লীল ছবি থাকলেই ধরছে পুলিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
মোবাইল ফোনে অশ্লীল ছবি, ভিডিও থাকলেই কিশোর-তরুণদের ধরে থানায় নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ!
এমনই কাণ্ড ঘটছে মণিপুরে।
পুলিশ-প্রশাসনের যুক্তি, মোবাইল ফোনে বা ইন্টারনেটে অশ্লীল ছবি দেখে ছোটদের মানসিক বিকৃতি হচ্ছে। তার জেরে বাড়ছে যৌন নিগ্রহ, শ্লীলতাহানি। তা রুখতেই টিন-এজারদের মোবাইল ফোনে নজরদারি শুরু হয়েছে। সে জন্য ইম্ফলের রাস্তায় নেমেছে বিশেষ বাহিনী। কারও কাছে অশ্লীল ভিডিও থাকলেই তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে থানায়।
স্থানীয় সূত্রের খবর, সপ্তাহখানেক ধরে পূর্ব ও পশ্চিম ইম্ফলের রাস্তায় সাদা পোশাকে ঘুরছেন ওই বাহিনীর পুলিশকর্মীরা। অল্পবয়সী কারও হাতে মোবাইল ফোন দেখলেই তৎপর হচ্ছে পুলিশ। ফোন নিয়ে খোঁজ চলছে অশ্লীল ভিডিও-র। সে ধরনের কোনও ছবি মিললে ছেলেটিকে থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। খবর পাঠানো হচ্ছে তার পরিজনদের কাছে। তাঁরা থানায় পৌঁছনোর পর, সকলের সামনে মোবাইল থেকে সে সব ছবি, ভিডিও মুছে দিতে হচ্ছে আটক হওয়া কিশোর, তরুণদের। ওই সব ছবি, ভিডিও দেখার ‘কুপ্রভাব’ নিয়েও তাদের বোঝাচ্ছে পুলিশ।
রাজ্য পুলিশের ডিআইজি ক্লে খোংসাইয়ের বক্তব্য, “মহিলাদের উপর অপরাধ রুখতেই এ পদক্ষেপ। ১৫-২০ বছরের ছেলেদের মোবাইল ফোনেই নজরদারি চালানো হচ্ছে। পরে সাইবার ক্যাফেগুলিতেও হানা দেবে পুলিশ।”
পুলিশের এই ভূমিকার সমালোচনা করেছে বিভিন্ন মহল। তারা জানিয়েছে, ছাত্রদের নৈতিক চরিত্রের ‘উন্নয়নে’ এর আগে এ ধরনের কাজকর্ম করেছে কয়েকটি জঙ্গি সংগঠনও।
তা মানতে নারাজ পুলিশকর্তারা। সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা রিপোর্টের কথা তুলে তাঁরা বলছেন, চলতি বছর জুন পর্যন্ত রাজ্যে ১০টি যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে। গত বছর ধর্ষণের শিকার হয় ২৭ জন। তাঁদের মধ্যে খুন করা হয়েছিল ৪ জনকে। কয়েকটি ঘটনা অভিযুক্তদের বয়স ছিল ১৮ বছরের নীচেই। সে সব দিকে তাকিয়েই মোবাইল, ইন্টারনেটে নজরদারির পরিকল্পনা হয়েছে। |
|
|
|
|
|