|
|
|
|
মণিপুরে বেহাল মিড-ডে মিল ব্যবস্থা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পের এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, মণিপুরে মাত্র ১০ শতাংশ স্কুলে বাচ্চারা চার ঘণ্টা কাটায়। কোথাও কোথাও তারা কেবল আধ ঘণ্টার জন্য, খাবার সময়টুকুতেই স্কুলে যায়। এরই পাশাপাশি, খাদ্যের গুণগত মানেও গাফিলতি ধরা পড়েছে। রাজ্যের সাতটি জেলায় চালানো এই সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে ২৮.৭৫ শতাংশ স্কুলে খাদ্যের পরিমাণ যেমন কম, তার গুণগত মানও ভাল নয়। মণিপুরের বাছাই করা ৮০টি গ্রামের আইসিডিএস কেন্দ্রে সমীক্ষা চালিয়ে ‘ক্রাই’ তথ্যই পেয়েছে। এ নিয়ে আজ ইম্ফলে রাজ্য পর্যায়ের এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে হাজির ছিলেন মণিপুর শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন এ নবচন্দ্র সিংহ ও মণিপুর রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের প্রাক্তন সদস্য এন নোংগাই সিংহ। শিশু অধিকার কর্মীদের মতে, নজরদারির অভাব, পরিকাঠামোগত দুর্বলতা ও প্রশাসনিক সদিচ্ছার কারণেই মণিপুরে শিশু বিকাশ প্রকল্পটি ধুঁকছে। প্রায় ৯২ শতাংশ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী জানিয়েছেন, তাঁরা নিয়মমতো ভাতা পাচ্ছেন না। এমনকী, রান্না করার কাঁচামালও নিজেদের খরচে স্কুলে আনতে হচ্ছে। তাই স্বাভাবিক নিয়মেই শিশু বিকাশের তাগিদ কমছে। সমীক্ষা দেখাচ্ছে, মাত্র ৫০ শতাংশ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নিয়মিত বাচ্চাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়। গ্রামের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা স্কুলের খোঁজ খবর রাখেন মাত্র ১৭.৫০ শতাংশ কেন্দ্রে। স্কুলে রেশন আসে কখনও বছরে একবার, কখনও দু’বার বা ভাগ্য ভাল থাকলে চারবার। অধিকাংশ কেন্দ্রে স্কুলে রান্না করে খাবার দেওয়া হলেও কিছু ক্ষেত্রে, শিক্ষিকারা ছাত্রছাত্রীদের বাড়িতে খাদ্যশস্য দিয়ে আসেন। ‘ক্রাই’-এর আবেদন, অবিলম্বে মণিপুরে শিশু বিকাশ প্রকল্পের সংস্কার সাধনের জন্য পরিকাঠামো বিকাশ, ব্যয় বরাদ্দ ও বরাদ্দ অর্থ বৃদ্ধি, এবং সর্বোপরি সরকারি সদিচ্ছা বাড়ানো দরকার। কড়া নজরদারি চালিয়ে, সব কেন্দ্রে শিশুরা যাতে নিয়মানুযায়ী খাবার পায় তা দেখার দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। দেখতে হবে যাতে বাচ্চারা স্কুলে নির্দিষ্ট সময় কাটায়। তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। স্কুলে খাদ্যপণ্য পৌঁছে দেওয়ার আবেদনও করেছেন শিশু অধিকারকর্মীরা। |
|
|
|
|
|