|
|
|
|
কাঠগড়ায় হবু স্বামী |
ধর্ষণের পর এ বার পুড়িয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হল তরুণীকে |
সংবাদসংস্থা • এটাওয়া |
ধর্ষণের পর প্রমাণ লোপাট করতে এ বার পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হল বছর কুড়ির এক তরুণীকে। গুরুতর জখম অবস্থায় এটাওয়ার একটি হাসপাতালে এই মুহূর্তে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁর শরীরের ৮০ ভাগ অংশই পুড়ে গিয়েছে বীভৎস ভাবে। অবস্থা আশঙ্কাজনক। হাসপাতালের শয্যা থেকেই পুলিশকে ওই তরুণী জানিয়েছেন, ধর্ষণের এই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক আর কেউ নন, তাঁর প্রেমিক তথা ভাবী স্বামী।
পুলিশ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে ভাবী স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে এটাওয়ায় তার বাড়িতে গিয়েছিলেন ওই তরুণী। বাড়িতে প্রেমিকাকে একা পেয়ে তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করে অভিযুক্ত যুবক। বাধা দিতে গেলে ওই তরুণীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে তাঁকে পুড়িয়ে মেরে ফেলতে উদ্যতও হয় সে। মেয়েটির বয়ানের ভিত্তিতেই অভিযুক্ত ওই যুবক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে স্থানীয় পুলিশ। এখনও পর্যন্ত তিন মহিলা-সহ মোট সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ধর্ষিতার বোন বলেন, “দিদি ওকে বিশ্বাস করত, ভালবাসত। তাই এক ডাকেই চলে গিয়েছিল ওদের বাড়ি কিন্তু দিদি যখন ফিরল তখন ওর গায়ে আগুন জ্বলছে।”
সময় নষ্ট না করে তখনই ওই তরুণীকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। পরে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় সাইফাইতে। মেয়ের এই অবস্থার জন্য শুধু তাঁর হবু স্বামীকেই নয়, হবু শ্বশুরবাড়ির সকলকেই দুষছেন ধর্ষিতার মা-বাবা। তাঁদের দাবি, ঘটনার দিন রাতে গণধর্ষণের শিকার হন তাঁদের মেয়ে। পর পর তিন জন ধর্ষণ করে তাঁকে।
ধর্ষিতার ভাই জানিয়েছেন, নৃশংস এই ঘটনার পর তিন দিন কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত দোষীদের শাস্তির বিষয়ে পুলিশের তরফে নেওয়া হয়নি কোনও ব্যবস্থা। এটাওয়ার এসএসপি এন চৌধুরী অবশ্য জানাচ্ছেন, তদন্ত চলছে। সময় লাগলেও দোষীরা ঠিক শাস্তি পাবে।
ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্য পুলিশের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল অরুণ কুমারের ব্যাখ্যা অবশ্য সম্পূর্ণ আলাদা। তাঁর দাবি, কোনও ধর্ষণই হয়নি। ওই তরুণীর পরিবার পণের টাকা মেটাতে অক্ষম, তাই ছেলেটির বাড়ি থেকে বিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। সেই দুঃখেই গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি।
এ নিয়ে দ্রুত তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন সমাজবাদী পার্টি নেতা নরেশ অগ্রবাল। তিনি জানিয়েছেন, “দোষী প্রমাণিত হলে কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি পাবে অভিযুক্তরা।” ধর্ষণের সাক্ষ্য দিতে আদালতে যাতে হাজিরা দিতে না পারেন নিগৃহীতা, তার জন্য গত কালই প্রতাপগড়ের এক নাবালিকার জিভ কেটে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল ধর্ষকের পরিবার। সেই ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই এটাওয়ার এই ঘটনা সামনে আসায় ফের প্রশ্নের মুখে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। |
|
|
|
|
|