দুই ভাগ্নেকে কানাডায় চাকরি পাইয়ে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তিন জন। তাদের কথায় জলন্ধর থেকে দুই ভাগ্নেকে কলকাতা নিয়ে আসেন গগন মল্লিক নামে এক ব্যক্তি। অভিযোগ, কথা মতো দমদম বিমানবন্দরে রাহুল মেহরা নামে এক যুবকের হাতে নগদ ১ লক্ষ টাকা ও ৬০০০ ডলার তুলে দিয়েছিলেন গগনবাবু। সমস্ত নথির সঙ্গে গত ৮ জুলাই দুই ভাগ্নে মনপ্রীত ও নভজ্যোৎ-কে বিমানে তুলেও দেন তিনি। দু’দিন পরেও তাঁদের খোঁজ না পেয়ে বৃহস্পতিবার পার্ক স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন গগনবাবু।
অভিযোগের ভিত্তিতে দেবাশিস দে, সমীর মণ্ডল ও অজয় কুমার ওরফে শাহজাহান চৌধুরী নামে তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কেষ্টপুর থেকে সুরজিৎ দত্ত ও রাহুল নামে আরও দু’জনকে ধরা হয়। শুক্রবার আদালতে অভিযুক্তদের ২৪ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, মনপ্রীত ও নভজ্যোৎ কানাডা পৌঁছননি। তাঁরা কোথায়, শুক্রবার রাত পর্যন্ত তার হদিস মেলেনি। গগনবাবু পুলিশকে জানান, রাহুলকে ফোন করলে সে আরও ১৬ লক্ষ টাকা টাকা চায়। তার পরেই তিনি থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশ জানায়, জলন্ধরের বাসিন্দা গগনবাবু ব্যবসার কাজে মাঝেমধ্যেই কলকাতায় এসে পার্ক স্ট্রিটের একটি গেস্ট হাউসে থাকতেন। সেখানেই অভিযুক্তদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়। তখনই ধৃতেরা তাঁর দুই ভাগ্নেকে কানাডায় চাকরি করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় বলে অভিযোগ।
পুলিশ জানায়, ওই গেস্ট হাউস থেকেই বৃহস্পতিবার দেবাশিস, সমীর ও অজয়কে ধরা হয়। সমীরের কাছে মেলে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা এবং ১২৮০ ডলার। তাদের জেরা করে ধরা হয় সুরজিৎ ও রাহুলকে। দেবাশিস, সমীর ও সুরজিৎ বেলঘরিয়া, দমদম ও কেষ্টপুরের বাসিন্দা। অজয় ও রাহুলের বাড়ি মুম্বইয়ে।
গোয়েন্দাপ্রধান পল্লবকান্তি ঘোষ বলেন, “গগনবাবুর সঙ্গে প্রতারকদের যোগাযোগ কী ভাবে হল, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই যুবকদের খোঁজ চলছে।” |