টুকরো খবর
শুরু হচ্ছে কাটোয়া ধর্ষণ কাণ্ডের বিচার
ঘটনার দেড় বছর পরে অবশেষে শুরু হতে চলেছে কাটোয়া-ধর্ষণ কাণ্ডের বিচার। শুক্রবার কাটোয়া ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের বিচারক সৈয়দ নেয়াজুদ্দিন আজাদ জানান, আগামী ২৯ অগস্ট থেকে এই মামলার বিচার শুরু হবে। ২০১২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় কাটোয়া-আমোদপুর লাইনে ছোট রেলে ডাকাতির সময়ে কেতুগ্রামের পাঁচুন্দির কাছে এক মহিলাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ওই বিধবা রেলপুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর বছর এগারোর মেয়ের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তাঁকে ট্রেন থেকে নামিয়ে ধর্ষণ করে। সেই বছর ৩০ মে মূল চার্জশিট পেশ করেছিল পুলিশ। তাতে অভিযুক্ত করা হয় আট জনকে। গত ২ অগস্ট অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সাত জন অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছে। মোট ১৮৬ পাতার চার্জশিটে পনেরো জনকে সাক্ষী করেছিল পুলিশ। মূল সাক্ষী অভিযোগকারিণীর ছোট মেয়ে। কয়েক মাস আগে বিচারের সুবিধার্থে ধর্ষণ ও ট্রেনে ডাকাতি, দু’টি মামলা ‘ট্যাগ’ (একত্র) করার নির্দেশ দেয় আদালত। মাসখানেক আগে মামলার চার্জগঠন হয়। আগামী ২৯ অগস্ট ওই ট্রেনের গার্ড দিলীপ সরকারের সাক্ষ্যগ্রহণ হবে। পর দিন অভিযোগকারিণী ও তাঁর ছোট মেয়ে সাক্ষ্য দেবেন।

পুরনো খবর:
ফের অস্ত্র রায়নায়

উদ্ধার হওয়া অস্ত্র। শুক্রবার তোলা নিজস্ব চিত্র।
নম্বরহীন একটি মোটরবাইক ধাওয়া করে রায়নার জামনা মোড় থেকে অস্ত্র উদ্ধার করল পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে বাইকের দুই আরোহীকেও। বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনা। ধৃতদের নাম, শেখ ইসাহার ওরফে সাহেব এবং শেখ হাফিজুল ওরফে বান্না। দু’জনেই স্থানীয় বনতির গ্রামের বাসিন্দা। এসপি সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা বলেন, “ধৃতদের সঙ্গে থাকা ব্যাগ থেকে আটটি গুলি ভরা আগ্নেয়াস্ত্র, প্রায় তিন ফুট লম্বা চারটি তলোয়ার ও ৪০টি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। জেরায় তারা কবুল করেছে ছিনতাই করা তাদের পেশা। এর আগেও এরা জামালপুর-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার হয়েছে।” দু’জনকেই আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

খুনের ঘটনায় গ্রেফতার তিন
রেলকর্মী দিলীপ মাহাতো খুনের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম, সুকুমার মণ্ডল, জিতেন্দ্র মণ্ডল ও শ্রাবণ মণ্ডল। পুলিশ জানিয়েছে, এঁদের বাড়ি যথাক্রমে ঝাড়খণ্ডের রাজমহল, বিহারের গড় এবং ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জে। এসপি এসএমএইচএম মির্জা জানান, তিনজনকেই ওই রাজ্যদু’টির আদালত থেকে ট্রানজিট রিমান্ড নিয়ে বর্ধমানে আনা হয়েছে। শুক্রবার বর্ধমানের সিজেএম আদালতে তুলে পুলিশ ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নেয়। ২৬ জুন ত্রিপল কলোনিতে খুন হয়েছিলেন দিলীপ মাহাতো। এর আগে ষড়যন্তের দায়ে মৃতের স্ত্রী বীণাদেবী ও স্থানীয় এক ব্যবসায়ী নাসের আলিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।

পুরনো খবর:
নাবালিকার বিয়ে দেওয়ায় ধৃত
এক নাবালিকাকে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগে তার বাবা, মা, স্বামী ও স্বামীর দুই বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে। এসপি জানান, মন্তেশ্বরের অষ্টগোরিয়ার এক বাসিন্দা বছর দুই আগে তাঁর ১৩ বছরের মেয়ের সঙ্গে ৩৬ বছরের শেখ রকিবুলের বিয়ে দেন। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচারে দিন দশেক আগে ওই নাবালিকা বর্ধমানের নাদরায় তার মাসির বাড়িতে চলে আসে। বৃহস্পতিবার দুই বন্ধু বেকু শেখ ও শেখ সাহজাহানকে নিয়ে স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে আসেন রকিবুল। সে কথা জানতে পেরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে তাদের গ্রেফতার করে।

ধর্ষণের চেষ্টা পঞ্চায়েত সদস্যাকে
সিপিএমের এক সদ্য প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যাকে ধর্ষণের চেষ্টা ও মারধরের অভিযোগ উঠল বর্ধমানে। রায়না ২ পঞ্চায়েতের খরিদ্দা-ডাঙাপাড়ার ওই বাসিন্দা বর্ধমান মেডিক্যালে ভর্তি। পুলিশের কাছে তাঁর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে লোডশেডিং হওয়ায় বাড়ির দোতলা থেকে নীচে লণ্ঠন আনতে যান তিনি। তখন মুখ ঢাকা চার-পাঁচ জন দুষ্কৃতী ঘরে ঢোকে। মুখ চেপে মারতে মারতে তাঁকে পাশের খামারবাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। বিদ্যুৎ চলে আসায় তারা তাঁকে ফেলে পালায়। তাঁর আরও দাবি, গত বার যে আসন থেকে তিনি জিতেছিলেন, এ বার সেখানে সিপিএমের প্রার্থী তাঁরই ভাসুরের মেয়ে। তৃণমূলের কথা মতো প্রার্থিপদ প্রত্যাহার না করাতেই এমন হামলা, দাবি ওই মহিলার। তৃণমূলের অবশ্য দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে তাদের কেউ যুক্ত নয়। পুলিশ ধর্ষণের চেষ্টার মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.