কলিংবেল বাজার শব্দ শুনে দরজা খুলতেই গুলিতে খুন হলেন এক রেলকর্মী। বুধবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানের ত্রিপল কলোনির রেল আবাসনে। পুলিশ জানায়, নিহতের নাম দিলীপ মাহাতো (৪৭)। বাড়ি ঝাড়খণ্ডের তালঝারি জেলায়। তিনি লিলুয়া রেল ওয়ার্কশপের কর্মী ছিলেন। কেন এই খুন, ধন্দে পুলিশ।
দিলীপবাবুর স্ত্রী বিন্দুদেবী বলেন, “চার ছেলেমেয়েকে নিয়ে আমি দেশের বাড়িতেই থাকি। মাসের শুরুতে এসে টাকা নিয়ে যাই। উনি কয়েক দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। অফিসও যাচ্ছিলেন না। সে কথা শুনে মঙ্গলবার সকালে আমি বর্ধমানে আসি।” তাঁর অভিযোগ, “রোজ ভোরে উঠে উনি লিলুয়া চলে যেতেন। এ দিন কলিংবেলের আওয়াজ শুনে দরজা খোলেন। ফিরতে দেরি হচ্ছে দেখে আমি ভিতর থেকে বেরিয়ে আসি। দেখি, বুকে ক্ষত নিয়ে উনি পড়ে রয়েছেন। ঝরঝর করে রক্ত পড়ছে। আমাকে দেখে শুধু বললেন, ওরা আমাকে গুলি করেছে।”
প্রতিবেশী মনোজ চৌধুরী বলেন, “বিন্দুদেবীর কান্না শুনে ছুটে গিয়ে দেখি মেঝেতে পড়ে রয়েছেন দিলীপবাবু। তাঁর স্ত্রীর মুখে ঘটনাটি শুনে ওভারব্রিজে দাঁড়িয়ে থাকা দুই পুলিশকর্মীকে ডেকে আনি। তাঁরাই থানায় ফোন করে ঘটনার কথা জানান।” আর এক স্থানীয় যুবক স্বপন লেটের দাবি, “দিলীপবাবু নিজের কাজ নিয়েই ব্যস্ত থকতেন। কখনও তাঁকে কোনও গোলমালে জড়াতে দেখিনি। কে বা কারা তাঁকে গুলি করল, কেনই বা করল, বুঝছি না।”
গোটা ঘটনা নিয়ে ধন্দে পুলিশও। পুলিশের একটি সূত্র জানায়, যে ভাবে কলিংবেল বাজিয়ে দরজা খোলানোর পরে দিলীপবাবুকে খুন করা হয়েছে, তা দেখে অনুমান করা হচ্ছে, আততায়ী দিলীপবাবুর পরিচিত। তবে সে বা তারা কারা, কেন এই খুন, পুলিশ জানাতে পারেনি। বর্ধমানের পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা বলেন, “এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। তবে আমরা কয়েকটি সূত্র পেয়েছি। তদন্তও শুরু হয়েছে। শীঘ্রই কিনারা হবে।” |