ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ-সহ প্রায় ৪০ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীকে বৃহস্পতিবার মালদহ কলেজে ৮ ঘণ্টা আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। তাঁদের দাবি, মেধা তালিকায় নাম নেই এমন ছাত্রছাত্রীকে টাকার বিনিময়ে ভর্তি করেছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গেই দাবি করা হয়, প্রথমবর্ষে আরও শতাধিক ছাত্রছাত্রীকে ভর্তি করাতে হবে। শেষ পর্যন্ত কলেজ কর্তৃপক্ষ টিএমসিপি-র দাবি মেনে ১০৬
জনকে অনার্সের ফর্ম দিয়েছেন। তারপরেই ঘেরাও তুলে নেওয়া হয়। |
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রভাস চৌধুরী বলেন, “কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি সন্তোষ চক্রবর্তীর কথায় আমরা টিএমসিপি-র দাবি মেনে নিয়ে অনার্সের ফর্ম দিয়েছি।” প্রবীণ সন্তোষবাবু এই কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।
ওই কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া চলছে। প্রথম তালিকা প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে। সেই তালিকায় যাঁরা স্থান পেয়েছেন, তাঁদের অনেকে ভর্তিও হয়ে গিয়েছেন। এই দিন ছিল পাস কোর্সের ভর্তি প্রক্রিয়ার তৃতীয় দিন। প্রায় আড়াইশো ছাত্রছাত্রী অপেক্ষাও করছিলেন ভর্তির জন্য। কিন্তু টিএমসিপি-র আন্দোলন শুরু হতে ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। টাকার বিনিময়ে ছাত্রছাত্রী ভর্তির অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। প্রভাসবাবুর দাবি, “টিএমসিপি-র অভিযোগ মিথ্যা। মেধা তালিকার বাইরে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের সন্তানদেরই কেবল ভর্তি করানো হয়েছে। সেটা নিয়ম মেনেই করা হয়েছে।”
টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ দাসের বক্তব্য, “আমাদের কাছে নির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে যে, ওই কলেজে টাকা নিয়ে ছাত্রদের ভর্তি করানো হয়েছে। তারই প্রতিবাদে আমরা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং শিক্ষকদের ঘরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেছি।” সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, “বহু ছাত্রছাত্রী বঞ্চিত হচ্ছিলেন। তাই আমরা দাবি করি, অনার্সে ভর্তি বাড়াতে হবে। কলেজ কর্তৃপক্ষ সেই দাবি মেনে নেওয়ায় আমরা খুশি।” প্রায় সারা দিন কলেজে আটক শিক্ষকদের অভিযোগ, আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীরা বহিরাগতদের নিয়ে কলেজে ঢোকে। টিচার্স কমনরুমের আলো, পাখা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এমনকী জলও চেয়ে পাওয়া যায়নি বলে দাবি। প্রসেনজিৎবাবুর অবশ্য পাল্টা দাবি, “আমরা কাউকে ঘেরাও করিনি। অবস্থান বিক্ষোভ করছি মাত্র। কারও কোনও অসুবিধা করিনি।” |