তিনি লড়াইয়ে রয়েছেন। কিন্তু ময়দানে নেই। পাত্রসায়র ব্লকের বালসি ১ পঞ্চায়েতের সিপিএমের এই প্রার্থীর নাম অনীক শ্যাম। দীর্ঘ দিন ধরে ‘ঘরছাড়া’ অনীকই শুধু দলের হয়ে পাত্রসায়র ব্লকের মধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনে লড়াই করছেন। বাকি ১৩৩টি ও পঞ্চায়েত সমিতির ২৮টি আসনে দল কোনও প্রার্থীই দিতে পারেনি। তাই অনীকই এখানে দলের ‘সবেধন নীলমণি’।
|
অনীক শ্যাম।
নিজস্ব চিত্র। |
ভোটে দাঁড়ালে কী হবে, গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে বামিরা গ্রামে তিনি বাড়িতে ঢুকতে পারছেন না বলে অনীকের অভিযোগ। এলাকার একসময়কার ডাকসাইটে সিপিএম নেতা রঞ্জিত শ্যামের ছেলে অনীক ডিওয়াইএফের পাত্রসায়র জোনাল কমিটির সভাপতি। তাঁর অভিযোগ, “স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার অত্যাচারে সপরিবারে গ্রাম ছাড়তে হয়েছে।” বিধানসভা ভোটের আগে অনীক ও তাঁর বাবার বিরুদ্ধে এলাকায় তৃণমূল কর্মীদের উপরে অত্যাচারের একাধিক অভিযোগ ছিল।
পরে তাঁদের দু ’জনকেই পুলিশ গ্রেফতার করে। এখন তাঁরা জামিনে ছাড়া রয়েছেন। অনীকের দাবি, তৃণমূল রাজনৈতিক কারণে মিথ্যা অভিযোগ করেছিল। যদিও তৃণমূলের ব্লক সভাপতি স্নেহেশ মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “ও নিজেই ঘর ছেড়েছে। আমরা কাউকে ঘরছাড়া করিনি।” গ্রামে ঢুকতে না পারলেও বিষ্ণুপুর মহকুমাশাসকের অফিসে গিয়ে অনীক মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁর দাবি, “বামিরা গ্রামের মানুষ নিরপেক্ষ ভাবে ভোট দিতে পারলে ওই অত্যাচারী তৃণমূল নেতাকে তাঁরা উপযুক্ত জবাব দেবেন। গ্রামে অনীক না থাকলে কী হবে, তাঁর এই ভোটে দাঁড়িয়ে পড়ায় রীতিমতো শঙ্কিত স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। কারণটা ব্লক নেতৃত্ব প্রকাশ্যে না বললেও তৃণমূলের নিচুতলার কর্মীরা জানাচ্ছেন, ওই বুথে তাঁরা অনীকের থেকে বেশি ভয় পাচ্ছেন দলেরই এক গোঁজ প্রার্থীকে। তৃণমূলের প্রার্থী ও তৃণমূলের প্রতীক না পাওয়া গোঁজ প্রার্থীর ভোট কাটাকাটিতে না অনীক জিতে যায়! এই আশঙ্কাই ভাবিয়ে তুলেছে তৃণমূল কর্মীদের। সে ক্ষেত্রে সিপিএম যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে, তা আরও জোরদার করবে বলে তাঁদের আশঙ্কা। তাই কার্যত গোটা পাত্রসায়রের নজর এখন বামিরায়। |